1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হরতালে সংঘর্ষ, আগুন, ভাঙচুর

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৪ ডিসেম্বর ২০১২

ঢাকাসহ সারাদেশে সংঘর্ষ, গাড়িতে আগুন, ভাঙচুর আর পুলিশের ওপর হামলার মধ্য দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত হয়েছে৷ এর ফলে রাস্তায় তেমন যানবাহন বের না হওয়ায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়৷

https://p.dw.com/p/16vP6
An activist of the Jamaat-e-Islami is being carried to a police van after an arrest during the country wide dawn-to-dusk strike at Malibagh in Dhaka, Bangladesh 04 December 2012. The Jamaat activists staged several processions in the city, smashed vehicles and set two buses on fire as the organization enforced the strike demanding the release of their top leaders detained and under trials of war crimes in the war in 1971. EPA/ABIR ABDULLAH
ছবি: picture alliance/dpa

ঢাকার কারওয়ান বাজার, তেজগাঁ, কাজিপাড়া, মিরপুর, কালসি, মগবাজার এবং যাত্রাবাড়িসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা হরতালের সমর্থনে ঝটিকা মিছিল বের করলে, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়৷ জামায়াত-শিবিরের পিকেটাররা ঐসব এলাকায় বাস, মিনিবাসে হামলা ও আগুন ধরিয়ে দেয়৷

জামায়াতের লোকজন সকালে রাস্তায় বের হয়ে এয়ারপোর্ট রোড, খিলক্ষেত, যাত্রাবাড়ি, মগবাজারসহ কয়েকটি এলাকায় যাত্রীদের বাস থেকে নামিয়ে হামলা ও ভাঙচুরের পর বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়৷ দুপুরের পর মিরপুরের কালসি এলাকায় শিবির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও যুব লীগের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়৷

Bangladesch Dhaka Islamisten Generalstreik
হরতালে নিরাপত্তা বাহিনীর কড়া অবস্থানছবি: picture alliance/landov

ঢাকা ছাড়াও ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষ হয়েছে৷ হামলা হয়েছে পুলিশ ও পুলিশেরর গাড়িতে৷ রাজশাহী এলাকায় ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তৎপর হয়ে ওঠে জামায়াত শিবিরের নেতা-কর্মীরা৷ পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার কথা স্বীকার করেন পুলিশ কর্মকর্তারা৷

এদিকে, জামায়াতের ডাকা হরতালের কারণে ঢাকায় যানবাহন চলাচল ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম৷ আর এতে দুর্ভোগে পড়েন অফিসসহ নানা কাজে ঘরের বাইরে বের হওয়া সাধারণ মানুষ৷

ঢাকায় হরতাল বিরোধী সমাবেশ ও মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠন৷ সমাবেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, জামায়াত সব সময়ই সন্ত্রাস আর ধ্বংসের পথ বেছে নিয়েছে৷ তাই তাদের কোনো কর্মসূচির অনুমতি সরকার দেবে না৷ আর আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তির দাবিতে যে কর্মসূচি দিয়েছে – তা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল৷

যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটক গোলাম আযম নিজামী, মুজাহিদ, সাঈদীসহ শীর্য নেতাদের মুক্তির দাবিতে সোমবার ঢাকায় সমাবেশ করতে না পেরে তার প্রতিবাদে, জামায়াতে ইসলামী মঙ্গলবার হরতাল পালন করলো৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য