হরতালে সংঘর্ষ, আগুন, ভাঙচুর
৪ ডিসেম্বর ২০১২ঢাকার কারওয়ান বাজার, তেজগাঁ, কাজিপাড়া, মিরপুর, কালসি, মগবাজার এবং যাত্রাবাড়িসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা হরতালের সমর্থনে ঝটিকা মিছিল বের করলে, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়৷ জামায়াত-শিবিরের পিকেটাররা ঐসব এলাকায় বাস, মিনিবাসে হামলা ও আগুন ধরিয়ে দেয়৷
জামায়াতের লোকজন সকালে রাস্তায় বের হয়ে এয়ারপোর্ট রোড, খিলক্ষেত, যাত্রাবাড়ি, মগবাজারসহ কয়েকটি এলাকায় যাত্রীদের বাস থেকে নামিয়ে হামলা ও ভাঙচুরের পর বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়৷ দুপুরের পর মিরপুরের কালসি এলাকায় শিবির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও যুব লীগের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়৷
ঢাকা ছাড়াও ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষ হয়েছে৷ হামলা হয়েছে পুলিশ ও পুলিশেরর গাড়িতে৷ রাজশাহী এলাকায় ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তৎপর হয়ে ওঠে জামায়াত শিবিরের নেতা-কর্মীরা৷ পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার কথা স্বীকার করেন পুলিশ কর্মকর্তারা৷
এদিকে, জামায়াতের ডাকা হরতালের কারণে ঢাকায় যানবাহন চলাচল ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম৷ আর এতে দুর্ভোগে পড়েন অফিসসহ নানা কাজে ঘরের বাইরে বের হওয়া সাধারণ মানুষ৷
ঢাকায় হরতাল বিরোধী সমাবেশ ও মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠন৷ সমাবেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, জামায়াত সব সময়ই সন্ত্রাস আর ধ্বংসের পথ বেছে নিয়েছে৷ তাই তাদের কোনো কর্মসূচির অনুমতি সরকার দেবে না৷ আর আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তির দাবিতে যে কর্মসূচি দিয়েছে – তা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল৷
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটক গোলাম আযম নিজামী, মুজাহিদ, সাঈদীসহ শীর্য নেতাদের মুক্তির দাবিতে সোমবার ঢাকায় সমাবেশ করতে না পেরে তার প্রতিবাদে, জামায়াতে ইসলামী মঙ্গলবার হরতাল পালন করলো৷