যুদ্ধকালীন ধর্ষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার জোলি
২৩ এপ্রিল ২০১৯মার্কিন দৈনিক দ্য ওয়াশিংটন পোস্টে যৌথভাবে জোলি ও মাস একটি মতামত লিখেছেন৷ সেখানে তাঁরা যৌন নিপীড়নের শিকারদের প্রতি সহযোগিতার মাত্রা বাড়ানো এবং যুদ্ধে ধর্ষণকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারকারীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷
তাঁদের এই বিবৃতি এলো জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মঙ্গলবারের বিশেষ বৈঠকের ঠিক আগে৷ জার্মানি চাইছে এ বিষয়ে তাদের প্রস্তাব গৃহীত হোক৷ কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই প্রস্তাবে ভেটো দেয়ার হুমকি দিয়েছে৷
অভিনেত্রী জোলি যুক্তরাজ্যের প্রিভেন্টিং সেক্সচুয়াল ভায়োলেন্স ইন কনফ্লিক্ট ইনিশিয়েটিভ-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা৷ তিনি জার্মানির এই উদ্যোগের একজন সমর্থক৷
মাস ও জোলি যে বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন, তা হলো:
- সংঘাতপূর্ণ এলাকায় ধর্ষণকে ‘এখনো বিচারের আওতায় আনা হয় না'৷
- যারা এ অপরাধ করছে, তাদের ওপর ‘সরাসরি নিষেধাজ্ঞা জারির প্রস্তাব' করেছে জার্মানি৷
- এসব ‘অপরাধের সাক্ষ্য-প্রমাণ জোগাড় করতে' তদারকি আরো বাড়াতে হবে৷
- যারা যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন, তাঁদের প্রতি ‘সহযোগিতা বাড়াতে হবে'৷
- অপরাধের শিকাররা ন্যায়বিচার, ক্ষতিপূরণ ও আর্থিক সহায়তার দাবি রাখেন, যেন তাঁরা ‘সম্মানজনকভাবে বেঁচে থাকতে পারেন'৷
- এই প্রস্তাব পাশ হবার মধ্য দিয়ে যারা অপরাধ করছে, তাদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পৌঁছে যাবে যে, এখানে ‘ইমপিউনিটি'র আর কোনো সুযোগ নেই৷
জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএ কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে বলেছে যে, আনুষ্ঠানিকভাবে অপরাধ তদারকি করবার বিষয়টি নিয়ে আপত্তি আছে চীন, যু্ক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার৷ তাই এ অংশটি বাদ দেয়া হয়েছে৷ এছাড়া নারীর যৌন ও মাতৃস্বাস্থ্য বিষয়ক কিছু অংশের বিবরণ ও শব্দের ব্যবহার নিয়ে আপত্তি আছে যুক্তরাষ্ট্রের৷
জেডএ/এসিবি (ডিপিএ)