যুক্তরাষ্ট্রে খাদ্য-কর্মীরা ক্ষুধার কষ্টে
২৮ অক্টোবর ২০২০করোনা সংকট শুরুর পর থেকে ভীষণ কষ্টে দিন যাপন করছেন ইয়েসেনিয়া সেনডেজাস৷ আগে পিৎসা কারখানায় কাজ করেই চলে যেতো পাঁচ সন্তান নিয়ে তার সংসার৷ কিন্তু করোনার কারণে কর্মঘণ্টা কমানো হলো, বেতন হয়ে গেল অর্ধেক, সংসার চালাতে গ্রিন বে-র এক ফাস্ট ফুড রেস্তোঁরায় কাজ নিতে হলো উইসকনসিনের এই নারীকে৷ ৩৫ বছর বয়সি ইয়েসিনার সংসার তবু চলে না৷ দানের খাবার নিয়ে ট্রাক এসে থামলেই ছুটে গিয়ে লাইনে দাঁড়াতে হয় তাকে৷
উইসকনসিনকেন্দ্রিক খাদ্য সহায়তা সংস্থা ক্রুসেডার অফ জাস্টিকা আগে দিনে যেখানে ১২৫টি পরিবারকে খাবার দিতো, সেখানে করোনা সংকট শুরুর পর থেকে দিতে হচ্ছে তিন হাজার পরিবারকে৷
ফিডিং অ্যামেরিকা নামের একটি সংস্থার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, করোনা সংকটের সময় যুক্তরাষ্ট্রে পাঁচ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ খাদ্যসংকটে পড়েছে৷ এ সংকট সবচেয়ে বেশি দেখা দিয়েছে নর্থ ডাকোটা, মিনেসোটা এবং উইসকনসিনে৷
গত জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকদের প্রায় ১৮ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন৷ কিন্তু করোনা ভাইরাস ফুড অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রাম (সিএফএপি) থেকে সরাসরি দেয়া এই অর্থের বণ্টন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ উইসকনসিনে শতকরা ৯২ ভাগ কৃষক যে অর্থ পেয়েছেন তা খামার চালানোর একমাসের খরচের চেয়েও কম৷
ফলে কৃষকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ৷ আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন৷ সোমবার উইসকনসিনে মতামত জরিপ চালিয়েছিল রয়টার্স/ইপসোস৷ সেখানে ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে ট্রাম্পের চ্যালেঞ্জার বাইডেন আর ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৪ ভাগ ভোট৷
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে খাদ্যপণ্যের দামও বাড়ছে৷ গত জুনে রুটির দাম বেড়ে যায় শতকরা ২০ ভাগ আর মাংসের দাম ১৭ ভাগ৷
ইউএফডাব্লিউ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডায়ানা টেলেফসন মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে খাদ্যসংকটের অন্যতম কারণ সকারের অর্থ এবং খাদ্য সহায়তা সবার কাছে না পৌঁছানো৷
এসিবি/কেএম (রয়টার্স)
২২ মে’র ছবিঘরটি দেখুন...