যুক্তরাষ্ট্রের দুই নাগরিক মুক্ত, গাজায় মানবিক সহায়তা
২১ অক্টোবর ২০২৩ইয়ুদিথ তাই রানান এবং তার মেয়ে নাটালিয়াকে শুক্রবার মুক্তি দেয় হামাস৷ তাদেরকে গাজা সীমান্তে ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়৷
সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাসের মুখপাত্র আবু উবায়দা এই দুই জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণার কিছুক্ষণ পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুও বিষয়টি নিশ্চিত করেন৷
মার্কিন দুই নাগরিকের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হামাসের হাতে আটক হওয়ার সময় তারা গাজা সীমান্তের নিকটবর্তী ইসরায়েলের কিবুতজে ছিলেন৷ ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের উৎসবে যোগ দিতে সেখানে গিয়েছিলেন তারা৷ নাটালিয়ার স্কুল গ্রেজুয়েশন সম্পন্ন এবং তার দাদির ৮৫তম জন্মদিন উপলক্ষে ইসরায়েল ভ্রমণ করছিলেন তারা৷
ইসরায়েলের গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, দেশটির ডিফেন্স ফোর্সের সদস্যরা মা ও মেয়েকে সীমান্ত থেকে নিয়ে যাচ্ছে৷
এই দুই নাগরিককে মুক্ত করতে সহায়তার জন্য কাতার এবং ইসরায়েলকে ধন্যবাদ জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন৷ সমাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, এরই মধ্যে তিনি মুক্তি পাওয়া মা ও মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন৷
মা ও মেয়ের মুক্তির বিষয়টিকে অপহৃতদের মুক্তির প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন মুক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র৷ সূত্রটি আরো জানায়, হামাসের হতে জিম্মি থাকা বাকি অপহৃতদের মুক্ত করতে আলোচনা চলছে৷
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে বলা হয়, নিজ দেশের নাগরিকসহ বাকি অপহৃতদের মুক্ত করতে কাতারের সহায়তায় আলোচনা চলছে৷ জার্মানি, ফ্রান্স, পর্তুগাল, আর্জেন্টিনা, থাইল্যান্ডের নাগরিকেরাও ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠী হামাসের হাতে জিম্মি হয়ে আছেন বলে জানা গেছে৷
উল্লেখ্য, হামাসের ৭ অক্টোবরের আকস্মিক হামলায় ১৪শ ইসরায়েলি নিহত হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স৷ সেসময় প্রায় দুইশ ইসরায়েলিকে অপহরণ করে হামাস৷
সেই হামলার পর গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল৷ হামলায় এখন পর্যন্ত চার হাজার নিহত হয়েছেন৷
মানবিক সহায়তা পাঠানো শুরু
এদিকে, বেশ কয়েকদিনের আলোচনার পর গাজায় আটকে পড়াদের সহায়তার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে মানবিক সহায়তা পাঠানো শুরু হয়েছে৷ শনিবার স্থানীয় সময় সকালে মিশর-গাজা সীমান্তের রাফাহ ক্রসিং খুলে দেওয়ার পর সহায়তা পাঠানো শুরু হয়৷
সীমান্ত খুলে মানবিক সহায়তা পাঠানোর বিষয়টির প্রশংসা করেছেন জার্মান চেন্সেলর ওলাফ শলৎস৷
তিনি বলেন, ‘‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ যে, গাজার লোকজনের কাছে প্রথম সহায়তাটি পাঠানো হচ্ছে৷ তাদের খাদ্য, পানি এবং ওষুধ প্রয়োজন যা সরবরাহ করা হবে৷ এ সংঘাতে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সবগুলো পথ ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জার্মানি৷’’
আরআর/এআই (রয়টার্স, এপি)