1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যাঁর ক্যামেরার সামনে বয়সের চরিত্র বেরিয়ে আসে

২৭ ডিসেম্বর ২০১৯

শৈশব থেকে বার্ধক্য পর্যন্ত মানুষের জীবনে অনেক অভিজ্ঞতা হয়৷ বার্লিনের এক আলোকচিত্রী সেই পরিবর্তন ধরে রাখতে নানা বয়সের মানুষের ছবি তোলেন, তাঁদের কাহিনি শোনেন৷ ছবির এক সংকলন বই হিসেবে প্রকাশ করেছেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/3VNNk
BdT Deutschland | Berlin Sonnenaufgang
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Zinken

নরম ও নাজুক প্রকৃতির হলেও শিশুরা খোলা মনে বিশ্বকে দেখে৷ ৩০ থেকে ৪০ বছর পর প্রত্যেকেই অনন্য ব্যক্তিতে পরিণত হয়৷ তারপর বার্ধক্য এলেও মানুষ জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত থাকে৷

আলোকচিত্রী হিসেবে টোমাস কিয়েরক সাধারণত বিভিন্ন বিজ্ঞাপন এজেন্সি, কোম্পানি ও পত্রিকার জন্য কাজ করেন৷ তবে ‘একশো' নামে তাঁর নিজস্ব ছবির সংকলনের বিষয়বস্তু আলাদা৷ টোমাস বলেন, ‘‘এই বইয়ের মাধ্যমে আমি সব বয়সের, সব মানুষের সৌন্দর্য তুলে ধরতে চেয়েছি৷ ভালো করে পর্যবেক্ষণ করলে তরুণ প্রজন্মের মধ্যেই প্রজ্ঞা ও বয়স্কদের মধ্যে কৌতূহল দেখা যায়৷ আসলে তাদের দৃষ্টি আমার কাছে জাদুর মতো মনে হয়৷''

ক্যামেরার চোখে জীবনের গল্প

বিভিন্ন সংস্কৃতির নারীপুরুষ, এক বছরের শিশু থেকে শুরু করে পাকা চুলের বৃদ্ধ – অনেক মানুষ তাঁর ক্যামেরায় ধরা পড়েছে৷ এমনকি টোমাসের নিজের ৮ বছর বয়সি পুত্র কোলিয়া তাদের মধ্যে রয়েছে৷ বার্লিনে বই প্রকাশের সময় তার বয়স আরও তিন বছর বেড়ে গেছে৷ কোলিয়া মনে করে, ‘‘একদিকে অনেক শারীরিক পরিবর্তন হয়েছে, আমার বয়স বেড়ে গেছে৷ আরও লম্বা হয়েছি, চুল ছোট করে কাটিয়েছি৷ অন্তরেও অনেক পরিবর্তন ঘটেছে৷ বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আরও পরিণত, আরও গম্ভীর হয়ে উঠেছি৷''

২৪ বছর বয়সি পাউলিন স্ট্রাসবুর্গার বইয়ে নিজের ছবি দেখলে ভাবনায় ডুবে যান৷ তিনি বলেন, ‘‘পার্থক্যগুলি সত্যি চোখে পড়ার মতো৷ বিশের শুরু বা মাঝামাঝি বয়সে মানুষ নিজেকে আরও বয়স্ক ও পরিণত মনে করে৷ অথচ সেই পর্যায়ে মানুষ এত তরুণ থাকে, অনেক কিছু শুরু করে৷''

টোমাস কিয়েরক বার্লিনে তাঁর স্টুডিওয় কালো পর্দার সামনে ছবি তোলেন৷ এক পশু চিকিৎসক তাঁর জন্য মডেল হয়েছেন৷ অবনিশ লুগানি ৮৬ বছর আগে ভারতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন৷ বয়স হলেও তিনি এখনো বেশ সাবলীল৷ অবনিশ বলেন, ‘‘আয়ুর্বেদীয় রীতি অনুযায়ী সারা জীবন কাটিয়েছি৷ যোগাসন করেছি, ধ্যান করেছি৷ এভাবেই বয়স বেড়েছে৷ আমার মতে, স্বাভাবিক জীবনযাপন করাই ভালো৷ হামবড়া ভাব না দেখিয়ে বিনয়ী থাকা উচিত৷''

টোমাস কিয়েরক অনেক মানুষের সঙ্গে আলাপের সুযোগ পেয়েছেন৷ বিশেষ করে বয়স্ক মানুষের সঙ্গে তাঁর অনেক মূল্যবান অভিজ্ঞতা হয়েছে৷ তাঁর মতে, ‘‘বিশেষ করে আশি থেকে একশো বছর বয়সিদের জীবন আমার কাছে অত্যন্ত রোমাঞ্চকর মনে হয়েছে, কারণ এই বয়সের বেশি মানুষকে আমি চিনতাম না৷ এমন বয়সে কী করা সম্ভব, তা আমি দেখলাম৷ পরিবর্তন, জীবনের অভিজ্ঞতা, নতুন করে শুরু করার ক্ষমতা ইত্যাদি৷ একজন ৮৪ বছর বয়সে টেনিস খেলা শিখতে শুরু করেছেন৷ এক ৯৯ বছর বয়সি নারী এখনো কতটা সজাগ৷ বেঁচে থাকার আনন্দ ও ইচ্ছার এমন মাত্রা দেখে আমার বিস্ময় জেগেছে৷''

শিশু-কিশোর, প্রাপ্তবয়স্ক, বৃদ্ধ – জীবনের সব স্তরেই অনেক বাহ্যিক পরিবর্তন ঘটে৷ তবে অন্তরের বিকাশ প্রত্যেকের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়৷

সুসানে ডাউস/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য