ময়লা কুড়ানোর বিশ্বকাপে জয়ী ব্রিটেন
বিশ্বের ২১টি দেশের দল অংশ নেয় এই প্রতিযোগিতায়। পরিবেশ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে তুলতে এবারই প্রথম টোকিওতে আয়োজন করা হয় স্পোগোমি বিশ্বকাপ।
নামকরণ
স্পোগোমি শব্দটি দুটি শব্দের সংমিশ্রণে তৈরি করা হয়েছে। ইংরেজি শব্দ স্পোর্টস থেকে স্পো এবং আবর্জনা কুড়ানোর জাপানি অনুবাদ গোমিহিরোই, এই দুই মিলিয়ে বিশ্বকাপের নাম দেয়া হয়েছে স্পোগোমি বিশ্বকাপ, অর্থাৎ আবর্জনা কুড়ানো খেলার বিশ্বকাপ।
বাড়ছে জনপ্রিয়তা
এই খেলা জাপানে প্রথম চালু হয় ২০০৮ সালে। কেবল এ বছরই জাপানজুড়ে ২৩০টির বেশি এই খেলার আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু বিশ্বকাপ আয়োজন হলো এবারই প্রথম।
দূরদুরান্ত থেকে আসা দল
আয়োজনটি জাপানে হলেও অস্ট্রেলিয়া, এমনকি বিশ্বের অন্য প্রান্তের দেশ ব্রাজিল থেকেও প্রতিনিধিরা এসেছিলেন এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে। প্রতি দলে ছিলেন তিনজন করে সদস্য।
নিয়মাবলী
শিবুয়া এবং ওমোতেসান্দো শহরে দুই সেশনে ৯০ মিনিট করে আবর্জনা সংগ্রহের সময় পেয়েছে প্রতিটি দল। তবে আবর্জনা কেবল সংগ্রহ করলেই চলবে না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংগৃহীত আবর্জনা নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে ভাগও করতে হবে। এর এটাই ছিল সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং।
স্বাগতিকদের হারিয়ে বিজয়ী ব্রিটেন
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত জাপান। ফলে অন্য দলগুলোকে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখেই পড়েছিল বিশ্বকাপে। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে ব্রিটিশ দল 'দ্য নর্থ উইল রাইজ এগেন' ৫৭ দশমিক দুই সাত কিলোগ্রাম আবর্জনা সংগ্রহ ও বাছাই করে চ্যাম্পিয়নের মর্যাদা অর্জন করে, জাপানকে ঠেলে দেয় দ্বিতীয় স্থানে। পরবর্তী বিশ্বকাপ আয়োজন হবে ২০২৫ সালে।