জার্মানিতে কড়াকড়ির মেয়াদ বাড়লো
২৭ মে ২০২০করোনা সংকট শুরু হবার পর থেকে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও ১৬টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে গোটা দেশের জন্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়ে এসেছেন৷ কিছু ক্ষেত্রে রাজ্য অনুযায়ী পার্থক্য দেখা গেছে৷ সর্বশেষ সাংবাদিক সম্মেলনে ম্যার্কেল মূলত রাজ্যগুলির হাতেই এই দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন৷ মঙ্গলবার রাতে গোটা দেশে সামাজিক ব্যবধান ও মাস্ক পরার মতো বিধিনিয়ম সংক্রান্ত কড়াকড়ির মেয়াদ আগামী ২৯শে জুন পর্যন্ত বাড়ানো হলো৷ কিন্তু বরাবরের মতো ম্যার্কেল ও মুখ্যমন্ত্রীদের প্রতিনিধিরা সেই ঘোষণা করলেন না৷ এক সরকারি মুখপাত্রের মুখে সেই খবর জানতে হলো৷
আসলে কড়াকড়ি শিথিল করার বিষয়ে চলে আসা ঐক্যে চিড় ধরেছে৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা ঐকমত্যের চেয়ে বরং ‘একলা চলো রে' নীতি গ্রহণ করছেন৷ ফলে চ্যান্সেলরও অনেকটা হাল ছেড়ে দিয়েছেন৷ জানা গেছে, ম্যার্কেল নিজে আগামী ৬ই জুলাই পর্যন্ত এই মেয়াদ বাড়াতে চেয়েছিলেন৷ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আরও বেশি মানুষ প্রকাশ্যে বের হলেও সংক্রমণের হার মোটামুটি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে৷ টুরিঙ্গিয়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এমনকি তাঁর রাজ্যে সব বিধিনিয়ম তুলে নিতে চেয়েছিলেন৷ তবে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা অবশ্য দেখিয়ে দিচ্ছে, যে বিপদ মোটেই কাটে নি৷ বাভেরিয়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মার্কুস স্যোডার এই অবস্থায় রাজ্যের বদলে ফেডারেল সরকারের আরও শক্তিশালী ভূমিকার ডাক দিয়েছেন৷
এমন প্রেক্ষাপটে গোটা দেশে আরও কিছু বিধিনিয়ম শিথিল করা হচ্ছে৷ যেমন ৬ই জুন থেকে প্রকাশ্যে দশ জন বিচ্ছিন্ন মানুষের সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে৷ তবে আগের মতোই অন্য মানুষের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে৷ স্থানীয় বা আঞ্চলিক পর্যায়ে সংক্রমণের হার বাড়লে বিধিনিয়ম আবার চাপানোর সুযোগও রাখা হচ্ছে৷
জার্মান মন্ত্রিসভা বিদেশ ভ্রমণ সংক্রান্ত কড়াকড়ি শিথিল করার বিষয়েও ভাবনাচিন্তা করছে৷ এর আওতায় আগামী ১৫ই জুন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাকি ২৬টি দেশ, ব্রিটেন, সুইজারল্যান্ড ও লিশটেনস্টাইন ভ্রমণের সম্পর্কে সতর্কতা প্রত্যাহার করা হতে পারে৷ তবে এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে৷ বাভেরিয়ার মুখ্যমন্ত্রী স্যোডার ইটালি, স্পেন ও ফ্রান্সের সংক্রমণের উচ্চ হারের প্রতি নজর আকর্ষণ করে ভালো করে বিষয়টি ভেবে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন৷
জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান রাজ্য অনুযায়ী ভিন্ন বিধিনিয়ম নিয়ে কোনো সমস্যা দেখছেন না৷ তাঁর মতে, নতুন করে সংক্রমণের হার কম রাখা ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখাই সবার লক্ষ্য৷
এসবি/কেএম (রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ)
১৮ মে’র ছবিঘরটি দেখুন...