মেয়েদের জন্য সেরা দেশ
২০১৬ সালে ‘সেভ দ্য চিলড্রেন ফান্ড’ ১৪৪টি দেশে মেয়েদের পরিস্থিতি বিচার করে একটি ‘গার্লস অপরচুনিটি ইনডেক্স’ তৈরি করে৷ সূচকে ছিল বাল্যবিবাহ, কিশোরী মাতৃত্ব, প্রসূতিমৃত্যু, মহিলা সাংসদদের অনুপাত ও স্কুলের পড়াশুনা৷
তালিকার শীর্ষে সুইডেন
তাতে সম্ভবত কেউই বিশেষ আশ্চর্য হবেন না৷ মেয়েদের সুযোগ-সম্ভাবনার তালিকা যেন শুরুই হচ্ছে ইউরোপের উত্তরে সুইডেন, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে - সেখান থেকে নেমে আসছে নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক হয়ে স্লোভেনিয়ায়...
১২ নম্বরে জার্মানি
স্লোভেনিয়ার পর পর্তুগাল, সুইজারল্যান্ড, ইটালি, স্পেন হয়ে তবে জার্মানি৷ জার্মানির পরপরই অস্ট্রিয়া ও লুক্সেমবুর্গ৷ তারপর আসছে...
১৫ নম্বরে ব্রিটেন
‘স্পাইস গার্লস’দের দেশ ব্রিটেনে যে মেয়েরা বেশি সুযোগ পাবে, সেটা ধরে নেওয়াটা বোধহয় ভুল হতো, কেননা ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’-এর ইনডেক্সে যে ইন্ডিকেটরগুলি ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলি সামগ্রিক৷
২১ নম্বরে অস্ট্রেলিয়া
ইউএনডিপি’র হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্সে এই দেশ কিন্তু দ্বিতীয় স্থানে৷ ‘গার্লস অপরচুনিটি ইনডেক্স’-এ অস্ট্রেলিয়ার এতটা নেমে যাওয়ার কারণ মহিলা সাংসদদের স্বল্পতা ও কিশোরী মাতৃত্বের অপেক্ষাকৃত উচ্চ হার৷ যুক্তরাজ্য (১৫) বা ক্যানাডার (১৯) স্থানও মূলত ঐ দু’টি কারণে৷
৩২ নম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন তালিকায় যে দেশ অষ্টম, তার স্থান মেয়েদের সুযোগ-সম্ভাবনার বিচারে কাজাখস্তান (৩০) ও আলজেরিয়া (৩১)-এর চেয়েও নীচে৷ এর কারণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কিশোরী মাতৃত্ব ও প্রসূতি মৃত্যুর হার অনুরূপ ধনী দেশগুলির তুলনায় বেশি৷ ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র্রে প্রতি এক লক্ষ শিশুর জন্মে ১৪ জন প্রসূতি মারা যান, যেখানে পোল্যান্ড, গ্রিস বা ফিনল্যান্ডে প্রতি এক লাখ শিশুর জন্মে তিনজন করে মা প্রাণ হারান৷
৬০ নম্বরে শ্রীলঙ্কা
উপমহাদেশের দিকে নজর দিলে, সবচেয়ে ভালো ফলাফল করেছে শ্রীলঙ্কা...
৮৮ নম্বরে পাকিস্তান
এটাকেও চমক বলা চলে...
৯০ নম্বরে ভারত
এটাকে চমক বলা চলে না...
১১১ নম্বরে বাংলাদেশ
বাদবাকি উপমহাদেশের মতোই, এখানেও অনেক কিছু করা বাকি৷
১৪৪ নম্বরে নাইজার
বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলির মধ্যে পড়ে৷ নাইজারের মতো দেশে দারিদ্র্যকেই মেয়েদের দুরবস্থার মূল কারণ বলে ধরে নেওয়া চলে৷
প্রতিবেদন: বিবেক কুমার/অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী