সরকারের প্রতি রুল
৩০ অক্টোবর ২০১২একই সঙ্গে স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর রেডিয়েশনের ক্ষতিকর প্রভাব পরীক্ষার জন্য হাইকোর্ট একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন৷ কমিটিকে তিনমাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে হবে৷
বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের টাওয়ার নীতিমালা মেনে স্থাপন করা হয়না বলে অভিযোগ আছে৷ আর এই কারণে টাওয়ারের রেডিয়েশন পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে৷ নারকেল গাছের পাতা মারে যাচ্ছে, ফুল ঝরে পড়ছে আর নারকেলের ভেতর পচে যাচ্ছে৷ যা এর আগে ডয়চে ভেলের খবরে প্রচার করা হয়েছে৷
আর টাওয়ারের এই রেডিয়েশনে আছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি৷ যা ডয়চে ভেলেকে জানান, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ক্যান্সার বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মোয়াররফ হোসেন৷
আর এই প্রেক্ষাপটে টাওয়ারের রেডিয়েশন বন্ধে মঙ্গলবার ‘হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ'এর প্রধান অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ হাইকোর্টে রিট করেন৷ প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী এবং বিচারপতি আশিষ রঞ্জন চৌধুরী টেলিযোগযোগ, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সচিব এবং বিটিআরসি ও আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানের প্রতি চার সপ্তাহের রুল জারি করেন৷ যা সাংবাদিকদের জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খুরশীদুল আলম৷ তিনি জানান, আদালত স্বাস্থ্য সচিবকে রেডিয়েশনের ক্ষতিকর দিক পরীক্ষার জন্য সাত সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে বলেছেন৷ তাদের তিনমাসের মধ্য প্রতিবেদন দিতে হবে৷ আর আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যনকে সাতদিনের মধ্যে একটি রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে৷
অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জানান, উন্নত বিশ্বে মোবাইল ফোনের টাওয়ার নির্মাণে নীতিমালা আছে৷ আছে রেডিয়েশনের ক্ষতিকর প্রভাব বন্ধের ব্যবস্থা৷ কিন্তু বাংলাদেশে তা নেই৷ বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত শুনানি হবে হাইকোর্টে৷
বাংলাদেশে ছয়টি মোবাইল ফোন অপারেটরের ৩০ হাজার টাওয়ার আছে৷ এসবের অধিকাংশই জনবহুল এলাকার বাসা-বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসাপাতালের ছাদে৷ যা জনস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর বলে মত বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের৷