মৃত সাগর মরে যাচ্ছে
ইসরায়েল, জর্ডান ও পশ্চিম তীর লাগোয়া ডেড সি বা মৃত সাগরের পানি সাধারণ সাগরের পানির তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি লবণাক্ত৷ দিন দিন এই লেকের পানি কমছে৷
ডেড সি বা মৃত সাগর
নামে সাগর হলেও এটি আসলে একটি লেক৷ ইসরায়েল, জর্ডান ও পশ্চিম তীর লাগোয়া মৃত সাগরের পানি সাধারণ সাগরের পানির তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি লবণাক্ত৷ ছবিতে ইসরায়েলের আইন বোকেক এলাকার মৃত সাগরে লবণের তৈরি একটি কাঠামো দেখা যাচ্ছে৷
পর্যটন
লবণের পরিমাণ বেশি হওয়ায় মৃত সাগরে মানুষ ডোবে না, ভেসে থাকে৷ এই আকর্ষণের কারণে ইসরায়েল ও জর্ডানে পর্যটন শিল্প গড়ে উঠেছে৷
পানি কমছে
১৯৬০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত মৃত সাগরের আয়তন এক-তৃতীয়াংশ কমেছে৷ লেকের পানি বছরে প্রায় এক মিটার করে সরছে৷ ছবিতে ইসরায়েলি দখলকৃত পশ্চিম তীরের ইয়েরিচো এলাকার কাছে ডেড সি দেখা যাচ্ছে৷ পানির আশেপাশে যে এলাকা দেখা যাচ্ছে সেখানেও একসময় পানি ছিল৷
কারণ
কৃষিকাজে ব্যবহার ও খাবার পানি পেতে ইসরায়েল ও জর্ডান মৃত সাগর থেকে পানি নিয়ে থাকে৷ এছাড়া বিভিন্ন কেমিক্যাল প্ল্যান্ট ডেড সি থেকে খনিজ সংগ্রহ করছে৷ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেও পানি বাষ্প হয়ে উবে যাচ্ছে৷ ২০১৯ সালের জুলাই মাসে ডেড সি তীরে অবস্থিত ইসরায়েলের সডোম এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস - যা ৭০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ৷
তৈরি হচ্ছে বড় গর্ত
পানি সরে যাওয়ার পর যে ভূমি থাকে তার নীচে লবণ জমা আছে৷ বন্যার পানি গড়িয়ে সেই জমিতে গিয়ে মাটির নীচে থাকা লবণ একসময় গলিয়ে ফেলে৷ এভাবে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়, যাকে বলে সিঙ্কহোল৷ এমন গর্ত যে-কোনো সময় তৈরি হতে পারে৷ তাই ঐ এলাকায় যাওয়া বিপজ্জনক৷ ডেড সির আশেপাশে এমন কয়েক হাজার সিঙ্কহোল তৈরি হয়েছে৷ একেকটি সিঙ্কহোল ১০ মিটার পর্যন্ত গভীর হতে পারে৷
পরিত্যক্ত গ্রাম
সিঙ্কহোল তৈরির সম্ভাবনা থাকায় লেক তীরবর্তী এলাকা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে৷ সে কারণে একসময় পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত ইসরায়েলের এইন গেডির এই হলিডে ভিলেজ এখন পরিত্যক্ত৷ ছবিতে সিঙ্কহোলের কারণে ধসে পড়া ঐ গ্রামের একটি অংশ দেখা যাচ্ছে৷
যেন ভুতুড়ে নগরী
এই ছবিটিও ইসরায়েলের এইন গেডি এলাকার৷ ছবিতে বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি পেট্রোল স্টেশন দেখা যাচ্ছে৷ পাশের রাস্তায় ফাটলও দেখা যাচ্ছে৷