1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুসলিম ফ্যাশন

২৮ আগস্ট ২০১৯

হিজাবসহ ইসলামি রীতি অনুযায়ী হালাল জামাকাপড় গোটা বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিতে চান ইন্দোনেশিয়ার এক তরুণী উদ্যোক্তা৷ তাঁর হাল ফ্যাশনের ডিজাইন দেশে-বিদেশে বেশ নজর কাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/3Ob9Q
প্রতীকী ছবিছবি: Getty Images/AFP/S.Khan

ইন্দোনেশিয়ার ডিজাইনার ডায়াজেং লেস্তারি আপাতত তাঁর ব্যবসা বৃদ্ধির কাজে মন দিচ্ছেন৷ আট বছর আগে তিনি হিজাপ নামের এক অনলাইন বিপণি গড়ে তোলেন, যেখানে মুসলিম নারী-পুরুষের জন্য ডিজাইন করা জামাকাপড় বিক্রি হয়৷ যখন তিনি এই উদ্যোগ শুরু করেন, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হওয়া সত্ত্বেও বিদেশি কোম্পানিগুলিই ইন্দোনেশিয়ার বাজার দখল করে ছিল৷ তিনি সুযোগ বুঝে কাজে নেমে পড়েন৷

হিজাপ ওয়েবসাইটে যে পণ্য পাওয়া যায়, ইন্দোনেশিয়ার ২০০ ডিজাইনার সেগুলি সৃষ্টি করেছেন৷ কেনাকাটা, বিপণন, বিক্রি – সবই জাকার্তায় কোম্পানির সদর দপ্তর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়৷ ডায়াজেং লেস্তারির ১২০ জন সহকর্মী রয়েছেন৷

তিনি নিজের পরিচিত ক্ষেত্রেই ব্যবসা শুরু করতে চেয়েছিলেন৷ মুসলিম ফ্যাশন কড়া নিয়মে বাঁধা৷ নারীরা শুধু তাঁদের মুখচ্ছবি ও হাত প্রকাশ্যে দেখাতে পারেন৷ কাপড়ের মধ্যে জেলাটিন থাকলে চলবে না, কারণ প্রায়ই শুকরের চর্বি দিয়ে তা তৈরি করা হয়৷ এছাড়া আরও কিছু শর্ত রয়েছে৷ বিষয়টি ব্যাখ্যা করে ডায়াজেং বলেন, ‘‘গোটা প্রক্রিয়া হালাল হতে হবে৷ ইসলামি, শালীন বা মুসলিম ফ্যাশনের ক্ষেত্রে শুধু কাপড় পরা নয়, সেই কাপড় তৈরি করার ক্ষেত্রেও সচেতন থাকতে হয়৷ গোটা প্রক্রিয়া টেকসই করতে নিজেদেরই কাপড় উৎপাদন করতে হয়৷ এভাবে আমরা পরিবেশের উপর প্রভাব রাখতে পারি৷’’

১৪ বছর বয়স থেকেই লেস্তারি হিজাব পরছেন৷ তাঁর মা কিন্তু সেটা চান নি৷ আজ তিনি সেই একই ফ্যাশন বিক্রি করে ব্যবসা ভালই চালাচ্ছেন৷ অতীতে মূলত বয়স্কা নারীরাই হিজাব পরতেন৷ এখন তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে৷

ক্লাবের সদস্যদের এক অনুষ্ঠানে হাল ফ্যাশানের পণ্য দেখানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ কয়েকজন অতিথি ইনস্টাগ্রামেও ছবি পোস্ট করেছেন৷ আজকাল হিজাব খুব চলছে৷ সহজেই চোখে পড়ে৷

হিজাবের ফ্যাশন-হিজাপ

লেস্তারি ইন্দোনেশিয়ার ছোট স্টার্ট আপ জগতে হাতে গোনা নারীদের একজন৷ সেইসঙ্গে তিনি দুই শিশুসন্তানের মা৷ এমন এক তরুণী মা ব্যবসা চালাতে পারেন কিনা, তা নিয়ে কয়েকজন বিনিয়োগকারীর মনে সন্দেহ ছিল৷ তিনি দুদিক সামলাতে প্রায়ই বাসা থেকে কাজ করেন৷ ডায়াজেং লেস্তারি অন্যভাবে নেতৃত্ব দিতে চান৷ তাঁর মতে, ‘‘এই কোম্পানির বৃদ্ধি ও এটিকে টেকসই করে তোলা আমার দায়িত্ব৷ হয়তো নারী হওয়ার কারণে আমার নিজেকে ‘বস' মনে হয় না৷ মনে হয় আমরা একটা টিম৷ টিম ছাড়া আমি কিছুই করতে পারি না বলে মনে হয়৷ তাদের কাছে আমি নিজেকে টিমের অংশ হিসেবে তুলে ধরি৷’’

তাঁর কয়েকজন কর্মী এখন লন্ডনে কাজ করেন৷ তাঁরা সেখানে ই-কমার্স কোম্পানি চালু করছেন৷ ইন্দোনেশিয়ার এই উদ্যোগপতি তাঁর আধুনিক মুসলিম ফ্যাশন গোটা বিশ্বে পৌঁছে দিতে চান৷

লিন্ডা ফিয়ারেকে/এসবি

হিজাব পরে রেসলিং!