1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুম্বই কান্ডে জড়িত হেডলিকে জেরা করতে ভারতীয় তদন্তকারীদল যুক্তরাষ্ট্রে

১ জুন ২০১০

২৬-১১এর মুম্বাই সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত মার্কিন নাগরিক ডেভিড হেডলিকে সরাসরি জেরা করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন চার সদস্যের ভারতীয় তদন্তকারী দল৷

https://p.dw.com/p/Neo8
শিল্পীর চোখে ডেভিড হেডলির জেরাছবি: picture alliance/dpa

ভারতীয় তদন্তকারী দলে আছেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) তিনজন অফিসার এবং একজন আইন বিশেষজ্ঞ৷ দলের নেতৃত্বে আছেন এনআইএ'র ডিজি স্তরের অফিসার লোকনাথ বেহেরা৷ গত অক্টোবরে মার্কিন তদন্তকারী সংস্থা এফবিআই-এর হাতে গ্রেপ্তার হবার পর হেডলিকে এই প্রথম সামনাসামনি জেরা করার সুযোগ পাচ্ছে ভারতীয় তদন্তকারী দল৷ মুম্বই হামলায় পাকিস্তান-ভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বাকে সাহায্য করার অভিযোগে জেরা করার অনুমতি আদায় করতে ভারতকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে এবং দীর্ঘ আইনি বাধা অতিক্রম করতে হয়৷ হেডলি বর্তমানে রয়েছে মার্কিন জেলহাজতে৷

হেডলিকে মূলতঃ জেরা করা হবে ২০০৮এর নভেম্বরে মুম্বই হামলার আগে ও পরে - সে ভারতে কোথায় কোথায় গিয়েছিল, কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল সে সম্পর্কে৷ এই প্রসঙ্গে পুনের জার্মান বেকারির বিস্ফোরণ কান্ডে তার ভূমিকা নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাকে৷ হেডলির বয়ান রেকর্ড করবেন ভারতীয় দলের আইন বিশেষজ্ঞ ডায়ান কৃষ্ণান৷ সে সময় উপস্থিত থাকবেন হেডলির আইনজীবী এবং এফবিআই-এর একজন অফিসার৷ হেডলির বয়ানের ভিত্তিতে ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থা হেডলি ও তাঁর অপর সহচর পাক-ক্যানাডিয়ান তাহাউর রানার বিরুদ্ধে ভারত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ও বেআইনি কার্যকলাপ নিরোধক আইনে চার্জশীট দাখিল করবে৷

হেডলিকে ১২টি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেন মার্কিন আদালত৷ তারমধ্যে ৯টি মুম্বই সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে যুক্ত৷ তাতে হেডলির ফাঁসি হবার কথা৷ কিন্তু অতীতে তদন্ত কাজে হেডলির সহযোগিতা এবং ভবিষ্যতে সহযোগিতা করার আশ্বাসের ভিত্তিতে মার্কিন বিচারক হেডলিকে মৃত্যুদন্ড থেকে রেহাই দেন৷ উল্লেখ্য, পাকিস্তান-ভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বা হেডলিকে নজরদারি করার কাজে পাঠায় ভারতে ২০০৬ সালে৷ হেডলি ও তাঁর দুজন লস্কর সহযোগী নিজেদের গোপন কাজকর্ম আড়াল করতে মুম্বই-এ খোলে একটি অভিবাসন অফিস৷ এফবিআই-এর কাছে হেডলি স্বীকার করে সে পাকিস্তানি সন্ত্রাসী শিবিরে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার