1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুম্বইয়ে অগ্নিকাণ্ডে গ্রেফতার দুই

১ জানুয়ারি ২০১৮

মুম্বইয়ের কমলা মিল বিল্ডিংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দু'জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ৷ রবিবার রাতে কেভিন বাওয়া ও লিসবন লোপেজকে গ্রেফতার করা হয়৷ অভিযুক্ত দু'জনেই ‘ওয়ান অ্যাবভ' নামক একটি রেস্তোরাঁর ম্যানেজার৷

https://p.dw.com/p/2qBdc
মুম্বইয়ের কমলা মিলে আগুন
ছবি: Reuters/Poonam Burde

ওই রেস্তোরাঁ থেকেই শনিবার আগুন ছড়ায় বলে অনুমান৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন রেস্তোরাঁর ‘রুফ টপ'-এ জন্মদিনের পার্টি চলছিল৷ তখনই আগুন লাগে৷ দ্রুত ছাত থেকে নামতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়৷ যাঁর মধ্যে ১২ জনই মহিলা৷ প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, দ্রুত ছাত থেকে নামার সময় সংকীর্ণ সিঁড়িতে প্রবল ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে আসে৷ যার জেরে পড়ে যান অনেকে৷ বাকিরা তাঁদের উপর দিয়ে দ্রুত নেমে যাওয়ার চেষ্টা করেন৷ ঘটনাস্থলেই অনেকের মৃত্যু হয়৷ বাকিদের নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় একটি হাসপাতালে৷ প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় দমকলকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন৷

মুম্বইয়ের কমলা মিল সংলগ্ন অঞ্চল পরিচিত এলাকা৷ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের দফতরও আছে সেখানে৷ আগুন লাগার পর খবর সম্প্রচারও বন্ধ করে দিতে হয়েছিল দফতরের নিরাপত্তার কারণে৷ সাধারণ মানুষের অভিযোগ, জনবহুল ওই অঞ্চলে অগ্নিনির্বাপণের কোনো ব্যবস্থাই নেই৷ ফলে এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে৷ তবে এবারের ঘটনা অতীতের সব অগ্নিকাণ্ডকে ছাপিয়ে গিয়েছে৷ অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা না থাকার কারণেই পুলিশ ওই রেস্তোরাঁর দুই ম্যানেজারকে গ্রেফতার করেছে৷ তবে আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি৷

আজ ধ্বংসাস্তূপে পরিণত হয়েছে কমলা মিল
ছবি: Reuters/D. Siddiqui

ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে, বিশেষত মুম্বইয়ে এমন অগ্নিকাণ্ড এখন প্রায় নিত্যদিনের ঘটনা৷ তা সে কলকাতার পার্ক স্ট্রিটেই হোক কিংবা মুম্বইয়ের কমলা মিল অঞ্চল৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, অগ্নিনির্বাপণের সাধারণ নিয়মগুলিও কোথাও মানা হয় না৷ শুধু তাই নয়, আগুন লাগলে রেসকিউয়ের কোনো ব্যবস্থা থাকে না অধিকাংশ জায়গায়৷ ‘ফায়ার এগজিট' থাকলে শনিবারের ঘটনায় প্রাণহানি এড়ানো যেত বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা৷

এসজি/ডিজি