1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুফতি হারুনের তথ্য

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১১ অক্টোবর ২০১৩

চট্টগ্রামের জমিয়াতুল উলুম আল মাদ্রাসার বোমার কারিগর নুরুন্নবী একজন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী৷ সে দীর্ঘদিন ধরে মুফতি ইজাহারুল ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে কাজ করছে বলে ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম৷

https://p.dw.com/p/19xZQ
Kurdish security forces inspect the site of a bomb attack in the city of Arbil, the capital of the autonomous Kurdistan region, about 350 km (217 miles) north of Baghdad, September 29, 2013. Six people were killed on Sunday in a series of explosions outside a security directorate in the capital of Iraq's usually peaceful autonomous Kurdistan region, security and medical sources said. Gunfire could be heard after the blasts in Arbil that wounded a further 36 people, according to the city's health directorate. The victims were believed to be members of the Iraqi Kurdish security forces, known as asayesh. REUTERS/Azad Lashkari (IRAQ - Tags: POLITICS CIVIL UNREST)
ছবি: Reuters

চট্টগ্রামের লালখান বাজারের জমিয়াতুল উলুম আল মাদ্রাসায় সোমবার বিস্ফোরণের দিন রাতেই আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয় নুরুন্নবীকে৷ তাকে এখন পুলিশ পাহারায় চিকিত্‍সা দেয়া হচ্ছে৷ পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে জানান, এই নুরুন্নবী বোমা এবং গ্রেনেড তৈরির কারিগর৷ সে মাদ্রাসার ছাত্র নয়, একজন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী৷ মাদ্রাসার ছাত্র না হয়েও সে দীর্ঘদিন ধরে মুফতি ইজাহারের মাদ্রাসায় থাকত৷ তার কাজই ছিল বোমা গ্রেনেড তৈরি করা এবং নতুনদের প্রশিক্ষণ দেয়া৷ পুলিশ কমিশনার জানান, ঘটনার দিন একটি কালো ব্যাগে করে মাদ্রাসায় বিস্ফোরক আনা হয়েছিল৷ আর তা থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে৷

মুফতি ইজাহার মাদ্রাসা পরিচালনা ছাড়াও হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির এবং নেজামে ইসলামের একাংশের চেয়ারম্যান৷ তার ছেলে মুফতি হারুনকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷ পুলিশ কমিশনার আরও জানান, জামায়াতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে তাদের৷ গত এক বছরে চট্টগ্রামে পুলিশের ওপর একাধিকবার বোমা হামলা চালানো হয়৷ মুফতি হারুন স্বীকার করেছে, এই বোমার একাংশ তাদের মাদ্রাসা থেকেই সরবরাহ করা হয়েছে৷ হারুন ও তার বাবা মাদ্রাসা কমপ্লেক্সে থাকে৷ বোমার কারিগর নুরুন্নবী তাদের সঙ্গেই থাকতেন৷ সোমবারও তারা বোমা এবং গ্রেনেড তৈরি করছিল পুলিশের ওপর হামলা চালাতে৷

Afghan children are examined for their knowledge of the Quran by their teacher in a madrassa, or Islamic school, in Kabul, Afghanistan, on Tuesday, June 1, 2004. The 120-year-old school, which was partially destroyed during Afghanistan's war, uses Islamic texts for teaching to their 800 pupils. (AP Photo/Emilio Morenatti)
পুলিশ কমিশনার জানান, ঘটনার দিন একটি কালো ব্যাগে করে মাদ্রাসায় বিস্ফোরক আনা হয়েছিল৷ আর তা থেকেই বিস্ফোরণ ঘটেছবি: AP

এদিকে বিস্ফোরণের পর পরই মুফতি ইজাহার সাংবাদিকদের কাছে বিস্ফোরণের কারণ হিসেবে কম্পিউটারের ইউপিএস বিস্ফোরণ বলে প্রচার চালায়৷ আর ফায়ার সার্ভিসকে আগুনের কথা বলে আলামত নষ্টের চেষ্টা চালায়৷ আহত ৫ ছাত্রকে সেই অজ্ঞাত স্থানে পাঠায়, যাতে আসল ঘটনা প্রকাশ না পায়৷ তবে পরে ঘটনা প্রকাশ পেতে শুরু করলে মুফতি ইজাহার পালিয়ে যায়৷ পুলিশ কমিশনার জানান, এই মুফতি ইজাহার একজন আফগানিস্তান ফেরত ‘মুজাহিদ'৷ সে এবং তার ছেলের বিরুদ্ধে এর আগেও জঙ্গি তত্‍পরতার মামলা আছে৷

বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত মাদ্রাসা ছাত্রদের মধ্যে পর্যন্ত ২ জন মারা গেছেন৷ আর দু'জনের অবস্থা গুরুতর৷ বৃহস্পতিবার সাখাওয়াত হোসেন নামে নামে আরো একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ সেও আহত অবস্থায় পালিয়েছিল৷ চট্টগ্রামের সাংবাদিক নাসির উদ্দিন তোতা ডয়চে ভেলেকে জানান, মুফতি ইজাহারের বিরুদ্ধে জঙ্গি তত্‍পরতার অভিযোগ দীর্ঘদিনের৷ সে লালখান বাজারের জমিয়াতুল উলুম আল মাদ্রাসাকে কেন্দ্র করে এই তত্‍পরতা চালিয়ে আসছিল৷ তার কাছে অনেক অপরিচিত লোকের আনাগোনা ছিল৷ আর তার অনুমতি ছাড়া বাইরের কোনো লোক – এমনকি সাংবাদিকরাও মাদ্রাসার ভিতরে ঢুকতে পারতনা৷

এদিকে বিস্ফোরণের পর চার দিন চলে গেলেও এখনো এ নিয়ে হেফাজতে ইসলাম কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য