‘মুক্তিযোদ্ধাদের হেয় করছে’
১০ জুলাই ২০১৩বিষয়টি নিয়ে ব্লগ ও ফেসবুকেও অনেককে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে৷ এ জন্য তারা মূলত কোটা পদ্ধতির সমালোচনা করছেন৷
পত্র-পত্রিকার খবর অনুযায়ী, এতদিন প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পর কোটা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হতো৷ কিন্তু এবার সেই নিয়ম ভেঙে প্রিলিমিনারি পর্যায় থেকেই কোটা পদ্ধতি বেছে নেয়া হয়েছে৷ ফলে অনেক মেধাবী শুরুতেই বাদ পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে৷
এ ব্যাপারে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)'র সদস্য মুহম্মদ লিয়াকত আলী খান, যিনি ৩৪তম বিসিএস-এর দায়িত্বে রয়েছেন, তিনি প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘‘মৌখিক পরীক্ষার পর কোটা ঠিক করতে গিয়ে দেখা যায়, অনেক পদ শূন্য পড়ে থাকে৷ প্রার্থী থাকেন না৷ সে কারণে এবার প্রিলিমিনারি পর্যায় থেকেই যে কোটায় যতগুলো পদ আছে তার বিপরীতে প্রার্থী নেওয়া হয়েছে৷''
পিএসসি নিয়ে প্রথম আলো পত্রিকার জন্য প্রতিবেদন তৈরি করা সাংবাদিক শরিফুল হাসান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘৩৪ তম বিসিএস-এ অতি চামচামি করতে গিয়ে পিএসসি যা করলো তাতে আওয়ামী লীগ সরকারই বিপদে পড়বে৷ সারাদেশে অন্তত ১০ লাখ তরুণ এই সরকারকে আর ভোট দেবে না৷ এখনো সময় আছে, এই ফালতু নিয়ম বাদ দেয়া হোক৷''
উল্লেখ্য, কোটা পদ্ধতির একটা হলো মুক্তিযোদ্ধা কোটা৷ এর মাধ্যমে আসলে মুক্তিযোদ্ধাদের হেয় করা হচ্ছে বলে সামহয়্যার ইন ব্লগে মন্তব্য করেছেন এম এ লতিফ লিমন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারকে আজ সম্মানের বদলে হাসির খোঁড়াক ও করুণার পাত্রে পরিণত করেছে এই বেপরোয়া মুক্তিযোদ্ধা কোটা৷ অনেকের কাছে বলতে শুনি, "আমার বাপ-দাদা কীরকম বোকা ছিল!! নাম লেখাইয়া বন্দুক লইয়া ঘরে বইসা থাকলেই তো হইত৷ এখন নিশ্চিন্তে একখান চাকুরি পাইতাম৷''
এদিকে, আমারব্লগে মেহেদী লিখেছেন, শুধু কোটা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনলেই চলবে না বর্তমানে যেভাবে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে তাতেও পরিবর্তন আনা প্রয়োজন৷ কেননা এই পদ্ধতিতে মুখস্থবিদ্যার প্রয়োজন হয় বেশি৷