‘মিয়ানমারে শিশুরা সংকটাপন্ন’
২৪ মে ২০১৭জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ মিয়ানমারের তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে সে দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে৷ ২০১১ সালে মিয়ানমার সেনা শাসনের পথ ছেড়ে গণতন্ত্রের পথে হাঁটতে শুরু করে৷ ফলে সেই সময় থেকে সে দেশে প্রচুর বৈদেশিক বিনিয়োগকারী এগিয়ে এসেছে৷
সেসময় থেকে সরকার দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন এবং শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা বলে আসছে৷ কিন্তু ইউনিসেফ বলছে, প্রত্যন্ত অঞ্চলের এই শিশুরা কেবল নিরাপত্তা নয়, সব ধরনের সুযোগ সুবিধা থেকেই বঞ্চিত৷
ইউনিসেফের উপ নির্বাহী পরিচালক জাস্টিন ফোরসাইথ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ‘‘প্রত্যেকটি এলাকার শিশুদের নিরাপত্তা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে এখনো চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হচ্ছে মিয়ানমারকে৷ বিশেষ করে সংঘাতপূর্ণ রাখাইন রাজ্যে দরিদ্র শিশুরা কোনো সুবিধাই পাচ্ছে না৷’’
রাখাইন ছাড়া কচিন, শান এবং কাইন রাজ্যের শিশুরাও মানবিক বিপর্য়ের মুখে রয়েছে বলে জানিয়ে ইউনিসেফ৷ সংগঠনটির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি বছর মিয়ানমারে পাঁচ বছরের কম বয়সি অন্তত ১৫০ শিশুর মৃত্যু হয়৷ বেশিরভাগ শিশু প্রাণ হারায় মায়ের প্রসবকালীন জটিলতা এবং সংক্রমণের কারণে৷ এছাড়া ঐসব রাজ্যের ৩০ ভাগ শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে এবং তাদের অর্ধেকেরও বেশি দারিদ্র্যসীমার নীচে অবস্থান করছে৷ তাই অবিলম্বে এই শিশুদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ৷
এপিবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)