1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘মিয়ানমারে জাতিগত নিধন এখনও চলছে’

৩০ মে ২০১৮

ধর্মীয় স্বাধীনতা ও ধর্মীয় নিপীড়ন বিষয়ক মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্যাম ব্রাউনব্যাক বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনা সত্ত্বেও মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন বন্ধ হয়নি৷

https://p.dw.com/p/2yaqN
১৮ মার্চের এই ছবিতে রাখাইনের একটি গ্রামে রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ির ধ্বংসস্তূপ দেখা যাচ্ছেছবি: Getty Images/AFP/J. Freeman

মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশের সময় এই মন্তব্য করেন তিনি৷ ব্রাউনব্যাক বলেন, সহিংসতা এখনও চলছে৷

এর আগে মার্চ মাসে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সহকারী মহাসচিব অ্যান্ড্রু গিলমুর জানিয়েছিলেন, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী এখনও রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে চলে যেতে বাধ্য করছে৷ রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘‘মিয়ানমারের সরকার বিশ্বকে এই তথ্য জানাতে ব্যস্ত যে, তারা ফিরে আসা রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করতে প্রস্তুত৷ কিন্তু একই সময়ে তাদের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের (রোহিঙ্গাদের) বাংলাদেশে চলে যেতে বাধ্য করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে৷’’

এদিকে, মিয়ানমারের নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চির কার্যালয় সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ৫৮ জন মুসলিম রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে পৌঁছেছেন৷ দেশটির সরকারি গণমাধ্যমে প্রকাশিত ঐ বিবৃতিতে বলা হয়, প্রত্যাবর্তনের আনুষ্ঠানিকতা না মেনে ফিরে আসায় তাদের আটক করা হয়েছিল৷ পরে ‘ক্ষমা’ করে তাদের অস্থায়ী ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে৷ সেখানে তাদের পরিচয় পরীক্ষা করে দেখা হবে৷

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর আগত রোহিঙ্গাদের অস্থায়ীভাবে রাখার জন্য মিয়ানমার সীমান্তে একটি শিবির গড়ে তোলা হয়েছে৷ সেখানকার প্রথম বাসিন্দা হলেন এই ৫৮ রোহিঙ্গা৷ তারা গত চার মাসে বিভিন্ন পর্যায়ে মিয়ানমারের প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন সু চির মুখপাত্র জ টেয়৷ তবে ফিরে আসাদের পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানায়নি মিয়ানমার৷

এদিকে, বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা নেই৷ ‘‘ক্যাম্প থেকে কোনো রোহিঙ্গার রাখাইনে ফিরে যাওয়ার ঘটনা আমরা শুনিনি,’’ এএফপিকে বলেন বাংলাদেশের শরণার্থী বিষয়ক কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম৷

এর আগে গতমাসে একটি রোহিঙ্গা পরিবারের পাঁচ সদস্যের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার খবর দিয়েছিল মিয়ানমার৷ সেই সময় বাংলাদেশ দাবি করেছিল, পরিবারটি নো-ম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থান করছিল এবং সেখান থেকেই ফেরত গেছে৷

এদিকে, বাংলাদেশের ইংরেজি দৈনিক ‘ডেইলি স্টার’ বলছে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও প্রত্যাবাসন কর্মীরা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে, সোমবার পর্যন্ত একজনও আনুষ্ঠানিকভাবে মিয়ানমারে ফিরে যায়নি৷ তাই মিয়ানমারের সবশেষ ঘোষণা প্রহসন আর ‘পুরো ধোঁকা' বলে মন্তব্য করেছেন তাঁরা৷

জেডএইচ/এসিবি (এপি, এএফপি, ডেইলি স্টার)

২৬ জানুয়ারির এই ছবিঘরটি দেখুন...