1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমারে আবার দাঙ্গা

২৬ অক্টোবর ২০১২

মিয়ানমারে নতুন করে শুরু হয়েছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা৷ ভয়াবহ এ দাঙ্গায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেই চলেছে৷ দাঙ্গা শুরুর পর থেকে বাংলাদেশও সতর্ক৷

https://p.dw.com/p/16Wu3
ছবি: AP

মিয়ানমারে দাঙ্গা শুরু হলেই বাংলাদেশে তার প্রভাব পড়ে৷ রোহিঙ্গারা সীমান্ত অতিক্রম করে ঢুকে পড়েন বাংলাদেশে৷ এমনই হয়েছে গত কয়েক বছর৷ তবে এ বছর পরিস্থিতি অন্যরকম৷ নতুন করে দাঙ্গা শুরু হয়েছে মিয়ানমারে আর তারপরই জলসীমায় টহল জোরদার করেছে বাংলাদেশ সরকার৷ উদ্দেশ্য- মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ঢুকতে না দেয়া৷

এ ব্যবস্থার পর আর মিয়ানমার থেকে কোনো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পেরেছেন কিনা সেটা জানা যায়নি৷ গত পাঁচদিনে রোহিঙ্গা মুসলমানদের সঙ্গে বৌদ্ধদের দাঙ্গায় ২০ জন মারা গেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি৷ তবে রাখাইন রাজ্যের মুখপাত্র উইন মিয়াইংয়ের বরাত দিয়ে এপি জানিয়েছে দাঙ্গায় এ পর্যন্ত মারা গেছে ৫৬ জন৷ আগুনে পুড়েছে প্রচুর ঘরবাড়ি৷ জাতিসংঘ নতুন করে শুরু হওয়া এ দাঙ্গার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে৷

Bangladesch Rohingya Bootsflüchtlinge
মিয়ানমারে দাঙ্গা শুরু হলেই বাংলাদেশে তার প্রভাব পড়ে৷ রোহিঙ্গারা সীমান্ত অতিক্রম করে ঢুকে পড়েন বাংলাদেশেছবি: Asiapics

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ঘটনা সামাল দিতে অন্তত দুটি শহরে সান্ধ্য আইন জারি করা হয়েছে৷ তারপরও কোথাও কোথাও দাঙ্গা হয়েছে বলে জানা গেছে৷ বার্তা সংস্থাটি আরো জানায়, দাঙ্গা চলছে এমন এলাকা থেকে শত শত মানুষ ছুটছে বাংলাদেশের দিকে৷ তাঁরা শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিতে চান বাংলাদেশে৷

কিন্তু বাংলাদেশ সরকার সীমান্ত অতিক্রম করে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করুক এটা আর চায়না৷ এ নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বেশ সমালোচনাও হয়েছে৷ জবাবে সরকার বলেছে, জনসংখ্যা বিস্ফোরণের মুখে এমনিতেই হিমশিম খাচ্ছে দেশটি, এ অবস্থায় আরো শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়া সম্ভব নয়৷ তখন সরকারের তরফ থেকে আরো বলা হয়, রোহিঙ্গাদের সমস্যা সমাধান করতে পারে শুধু মিয়ানমার সরকার৷ এ ব্যাপারে তাঁদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা উচিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের৷ কিন্তু তা না করে বাংলাদেশ সরকারকেই শুধু শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দেয়ার বিষয়টিকে দুঃখজনক বলে অভিহিত করে শেখ হাসিনার সরকার৷ মিয়ানমারে সর্বশেষ দাঙ্গাটি হয়েছিল গত জুনে৷ সেই দাঙ্গায় কমপক্ষে ১০০ জন মারা যান৷ গৃহহারা হন অসংখ্য মানুষ৷ গত রবিবার থেকে শুরু হওয়া নতুন দাঙ্গাও বেশ ভয়াবহ৷

মিয়ানমার সরকার দাঙ্গা রোধের কিছু ব্যবস্থা নিলেও দাঙ্গা ঠিকই চলছে৷ এদিকে ইয়াঙ্গুনে একটা মিছিল হয়েছে৷ বার্তা সংস্থা এএফপির দেয়া খবর অনুযায়ী সেই মিছিলে অংশ নেয় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্ররা৷ রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন তাঁরা৷ বাঙালি মুসলমানদের সঙ্গে আর লেখাপড়া করতে চান না - এমন কথাও নাকি বলেছেন মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা৷

এসিবি/ জেডএইচ (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য