মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নিন্দায় বিশ্ব
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১প্রতিবাদীদের দমন করতে রাস্তায় সেনার সাজোয়া গাড়ি নামিয়ে দিল মিয়ানমারের সেনা বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের দ্রুত বাড়ি ফিরে যাওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, বিশ্বের একাধিক রাষ্ট্র মিয়ানমারের সেনার এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে। যৌথ বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার সকলের আছে। কোনো ভাবেই যেন তা দমন করা না হয়। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া রাজনৈতিক নেতাদের দ্রুত মুক্তির দাবিও জানানো হয়েছে।
অং সান সু চির সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করেছে। সু চি সহ একাধিক নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আপাতত এক বছরর জন্য দেশ শাসন করবে সেনা। তাদের অভিযোগ, বিগত নির্বাচনে সু চির দল ব্যাপক কারচুপি করেছে। নির্বাচন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হয়নি। সে কারণেই সেনা সরকার ভেঙে দিয়ে ক্ষমতা নিজেদের হাতে নিয়েছে।
সেনার ওই বিদ্রোহের পর থেকেই গোটা দেশ জুড়ে গণতন্ত্রপন্থিরা রাস্তায় নেমেছেন। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ-প্রতিবাদে অংশ নিচ্ছেন। সেনাও প্রতিবাদীদের সরাতে ব্যাপক অত্যাচার চালাচ্ছে। লাঠিচার্জ করে, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে, জলকামান ব্যবহার করে প্রতিবাদীদের ছত্রভঙ্গ করা হচ্ছে। ব্যবহার করা হচ্ছে রবার বুলেটও। প্রতিদিন হাজার হাজার প্রতিবাদীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। তারই মধ্যে রোববার দেশের রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হয়েছে সাজোয়া গাড়ি। কার্যত ফ্ল্যাগ মার্চ করতে শুরু করেছে সেনাবাহিনী।
এই পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, ক্যানাডা সহ ১১টি দেশের দূতাবাস একটি যৌথ বিবৃতি পেশ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, 'মিয়ানমারের জনগণের প্রতিবাদকে আমরা সমর্থন করি। তাদের গণতান্ত্রিক এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সমর্থন জানাই।' সেনা যেভাবে সেই আন্দোলন বন্ধ করার চেষ্টা করছে, তার নিন্দা করে ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দ্রুত গ্রেপ্তার এবং আটক হওয়া রাজনীতিবিদ এবং আন্দোলনকারীদের মুক্তি দেওয়া হোক।
জাতিসংঘও একটি আলাদা বিবৃতি জারি করে একই কথা বলেছে। সেখানে বলা হয়েছে, আন্দোলন বন্ধের নামে সেনাবাহিনী যা করছে, তার জন্য সমস্ত দায়িত্ব নিতে হবে সেনা প্রধানদের। গোটা বিশ্ব এর নিন্দা করছে।
তবে মিয়ানমারের সেনার তরফে এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)