1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিনি ইউরোপেও ব্রেক্সিটের ছায়া

২১ আগস্ট ২০২০

ব্রেক্সিট সত্ত্বেও ব্রিটেনকে ইউরোপের অংশ হিসেবে অনেকেই মন থেকে ছাড়তে পারছেন না৷ ব্রাসেলসে এক পার্কে এখনো ব্রিটেনের ক্ষুদ্র সংস্করণ শোভা পাচ্ছে৷ করোনা সংকটের কারণে দর্শক কমে গেলেও মিনি ইউরোপ বহাল তবিয়তে রয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3hHbV
ছবি: DW

লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার প্রাসাদ ও বিগ বেন ঘড়ি, এথেন্সের অ্যাক্রোপোলিস, নেদারল্যান্ডসের উইন্ড মিল, প্যারিসের আইফেল টাওয়ার, অথবা বার্লিনের ব্রান্ডেনবুর্গ তোরণ৷ ব্রাসেলস শহরের মাঝে মিনি ইউরোপে গেলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৮টি সদস্য রাষ্ট্রের বিখ্যাত দ্রষ্টব্যগুলি চোখে পড়বে৷

তবে কথাটা কি ঠিক? ইইউ-র সদস্য দেশের সংখ্যা সত্যি কি ২৮? অবশ্যই নয়৷ ব্রেক্সিটের কারণে ২০২০ সালের ৩১শে জানুয়ারি ব্রিটেন তো ইইউ ত্যাগ করেছে! সেই ঐতিহাসিক বাস্তব সম্পর্কে পার্কের কর্ণধার টিয়েরি মেউস বলেন, ‘‘বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য চিরকালই ইউরোপীয় ইউনিয়নের মূলমন্ত্র ছিল৷ বর্তমানে সেই বার্তা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে৷ সে কারণে ব্রিটেনের বিদায় ইউরোপের মানুষের জন্য দুঃখজনক৷’’

ব্রাসেলসে বিগ বেন, আইফেল টাওয়ার!

পার্কের প্রতিষ্ঠাতা টিয়েরি মেউস অবশ্য ব্রেক্সিটের কারণে দমে যাবার পাত্র নন৷ তিনি মিনি ইউরোপেও নতুন সীমানার ব্যবস্থা করেছেন৷

সাড়ে তিনশোরও বেশি স্থাপনার কারণে পার্কে দ্রষ্টব্যের অভাব নেই৷ প্রায় ৯,০০০ মূর্তি ও ৩৩টি অ্যানিমেশনও সেখানে দেখা যায়৷ এমনকি করোনা সংকটের সময়ে আদর্শ আচরণ সম্পর্কেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ টিয়েরি মেউস বলেন, ‘‘বর্তমানে মাত্র দশ শতাংশের মতো দর্শক আসছেন৷ বছরের শেষ পর্যন্ত সময়ে আগের বছরের তুলনায় ৪০ শতাংশ লোক হলেই আমরা খুশি হবো৷ গত বছর প্রায় চার লাখ মানুষ এসেছিলেন৷ এ বছর এক লাখ ষাট হাজার হলেই চলবে৷

ব্রিটিশ যুক্তরাজ্য আর ইইউ-র অংশ না থাকলেও দেশটি ইউরোপের হৃদয়েই অবস্থিত৷ কমপক্ষে ব্রাসেলস শহরে তো বটেই৷

লুসিয়া শুলটেন/এসবি