মিউনিখের শীতকালীন অলিম্পিকে বিরোধীরা
২ অক্টোবর ২০১৩সোমবার সন্ধ্যায় জার্মান অলিম্পিক ক্রীড়া সমিতি ডিওএসবি-র একটি ভোটে বাভারিয়ার রাজধানী আরো একবার শীতকালীন অলিম্পিক্স আয়োজনের জন্য প্রার্থী হবার আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ এরপর ১০ নভেম্বর গণভোটের মাধ্যমে জনগণের কাছ থেকে এই আবেদনের জন্য অনুমোদন সংগ্রহ করা হবে৷ ১০ নভেম্বরের চারদিন পরেই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির কাছে আবেদন পেশ করার শেষ তারিখ৷ মিউনিখ অলিম্পিকের ভেন্যুগুলি হবে মিউনিখ শহর এবং অপরাপর তিনটি স্থান, যেখানে শীতকালীন খেলাধুলার চল আছে, যেমন গার্মিশ-পাটেনকির্শেন, শোয়েনাও আম কোয়েনিগ্সে এবং রুপোল্ডিং৷
মিউনিখ ২০১৮ সালের শীতকালীন অলিম্পিক্সের জন্যও আবেদন করেছিল, কিন্তু সেবার জেতে দক্ষিণ কোরিয়ার পিয়ংইয়াং৷ সেযাবৎ মিউনিখ আরো একটি ভেন্যু যোগ করে তার পরিকল্পনার উন্নতি ঘটিয়েছে, এমনকি এবার জেতারও আশা রাখে – যদি না ঐ গণভোটের ফ্যাকড়াটা থাকতো৷ অলিম্পিক বিরোধীদের মতে এই গেমস অনুষ্ঠানের জন্য যে ৩৩০ কোটি ইউরো খরচ হবে, তা অত্যন্ত বেশি৷ তাছাড়া অলিম্পিক গেমস আয়োজনের ফলে আল্পস পার্বত্য অঞ্চলের পরিবেশের যে ক্ষতি হবে বলে ধরে নেওয়া যায়, তা কম হবে, অলিম্পিক সমর্থকদের এ আশ্বাস বিরোধীরা মানতে রাজি নয়৷
নো'লিম্পিক অ্যালায়েন্সের মতে আইওসি-র সঙ্গে যে ‘হোস্ট সিটি কনট্র্যাক্ট' স্বাক্ষর করতে হবে, তা একতরফা৷ রুপোল্ডিংকে ভেন্যু করার দাবিটাও বস্তুত আদতে বিরোধীদেরই ছিল৷ ওদিকে জাতিতে জার্মান টোমাস বাখ আইওসি-র প্রেসিডেন্ট হওয়ার ফলে মিউনিখের শীতকালীন অলিম্পিক্স পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে বৈ কমেনি বলে অনেকে মনে করছেন৷ তবে মিউনিখের মেয়র ক্রিস্টিয়ান উডের চোখ এখন পুরোপুরি গণভোটের দিকে: তিনি চান গণভোটে স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা৷
২০২২ সালের শীতকালীন অলিম্পিক্সের জন্য একমাত্র স্বীকৃত ও ঘোষিত আবেদন হলো কাজাখস্তানের আলমাতির৷ কিন্তু আরো কয়েকটি শহর আবেদন করতে পারে, যেমন নরওয়ের অসলো, সুইডেনের অস্টারসুন্ড, স্পেনের বার্সেলোনা, পোল্যান্ডের ক্রাকাও এবং ইউক্রেনের লভিভ৷
এসি/ডিজি (ডিপিএ)