বিমানের খোঁজে এবার বেসরকারি সংস্থা
২৯ মে ২০১৪
গত ৮ই মার্চ মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭-এর এমএইচ৩৭০ বিমানটি কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে নিখোঁজ হওয়ার পর, ভারত মহাসাগরের দক্ষিণ-পূর্বে একটি অঞ্চলে তার ধ্বংসাবশেষের খোঁজ চলছিল৷ কারণ সেখানেই এমন সংকেত ধরা পড়ে, যা সাধারণত কোনো বিমানের ‘ব্ল্যাক বক্স’ থেকে পাঠানো হয়৷ অস্ট্রেলিয়ার পার্থ শহরে জয়েন্ট এজেন্সি কো-অর্ডিনেশন সেন্টার বা জেএসিসি তার সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিল৷ জাহাজ, বিমান, সাবমেরিন ও নানা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেও বিমানটির কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি৷ শেষ আশা ছিল মার্কিন নৌ-বাহিনীর ব্লুফিন-২১ নামের বিশেষ রোবোট সাবমেরিন৷ সেটি সমুদ্রের নীচে প্রায় ৮৫০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে তল্লাশি চালিয়েও বিমানটির কোনো চিহ্ন পায়নি৷ ফলে বিমানটি বা তার ধ্বংসাবশেষ যে সেই অঞ্চলে নেই, এ বিষয়ে এবার মোটামুটি নিশ্চিত জেএসিসি৷ বৃহস্পতিবার তারা এক বিবৃতিতে সে কথা জানিয়েছে৷
এই ব্যর্থতা সত্ত্বেও এত বড় অভিযান যে পুরোপুরি বিফল হলো, এমনটা বলা যায় না৷ কারণ অনুসন্ধানের পাশাপাশি সেই এলাকায় সমুদ্রের নীচের তলদেশের ডিজিটাল মানচিত্র তৈরির উদ্যোগও চালু রয়েছে৷ দুটি চীনা ও একটি মালয়েশীয় জাহাজ আগামী তিন মাস ধরে সেই কাজে অংশ নেবে৷
এর পরের ধাপে একটি বেসরকারি সংস্থা আগামী আগস্ট মাস থেকে এক বছরের জন্য নতুন অভিযান শুরু করবে৷ স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেই অনুসন্ধান চলবে৷
বিশেষজ্ঞরা পেশাদারি দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিষয়টি বিবেচনা করলেও রাজনীতিকদের প্রতিক্রিয়া অন্যরকম৷ অস্ট্রেলিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পরিবহন মন্ত্রী ওয়ারেন ট্রাস বলেছেন, বিমানটি ভারত মহাসাগরের দক্ষিণেই কোথাও আছে বলে তিনি প্রায় নিশ্চিত৷ তাঁর মতে, পিং-এর কারণে সীমিত এলাকায় খোঁজ চালানো হয়েছিল৷ ফলে আরও বিস্তৃত এলাকায় যথেষ্ট মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি৷ এদিকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক তাঁর ছয় দিনের বেইজিং সফরে এমএইচ-৩৭০ বিমানের চীনা যাত্রীদের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ উল্লেখ্য, যাত্রীদের পরিবার মালয়েশিয়ার প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করে এসেছে৷
এসবি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স)