1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মার্কিন নির্বাচনে জালিয়াতির আশঙ্কা নিয়ে বিবাদ

১৭ আগস্ট ২০২০

ডাকযোগে ব্যালটে জালিয়াতির আশঙ্কা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প৷ বিরোধীদের অভিযোগ, ডাক বিভাগে ব্যায়সংকোচ করে ট্রাম্পই নির্বাচন বানচালের মতলব করছেন৷ এবার সংসদেও সংঘাতের আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/3h3ks
ফাইল ছবিছবি: picture-alliance/ZUMA Wire/S. Keeler

করোনা সংকটের মাঝে সংসদের অধিবেশন আয়োজন মোটেই সহজ কাজ নয়৷ সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা সংসদের বদ্ধ কক্ষে সশরীরে উপস্থিত থেকে বিতর্কে যোগ দেবেন, ভোটাভুটিতে অংশ নেবেন, এমনটা আশা করা কঠিন৷ তবে পরিস্থিতির চাপে রোববার এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন সংসদের নিম্ন কক্ষের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি৷ আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বড়সড় বিপর্যয় প্রতিরোধ করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেবার উদ্যোগ নিতে চান তিনি৷ চলতি সপ্তাহেই হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের অধিবেশনে বিরোধী দল সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে৷

বিরোধী ডেমোক্র্যাট দল প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের একটি সিদ্ধান্তকে ঘিরে ঘোর দুশ্চিন্তায় পড়েছে৷ করোনা সংকটের সময় ভোটগ্রহণ আদৌ সম্ভব করতে বিভিন্ন রাজ্যে সব ভোটারদের ডাকযোগে ভোট দেবার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে৷ বিশেষ করে ডেমোক্র্যাটিক গভর্নররা এমন ‘মেল-ইন’ ব্যালটের উদ্যোগ নিচ্ছেন৷ ফলে দেশের প্রায় অর্ধেক ভোটার ডাকযোগে ভোট দিতে পারেন৷ কিন্তু ট্রাম্প এমনই এক সংকটের সময়ে ডাক বিভাগের ব্যয়সংকোচের যে বিতর্কিত পদক্ষেপ নিয়েছেন, তার ফলে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে৷ সে ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল জানতে দীর্ঘ বিলম্ব ঘটতে পারে৷

এমন এক প্রেক্ষাপটে ডাক বিভাগের অবকাঠামো ও কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে মার্কিন পোস্ট মাস্টার জেনারেল লুইস ডিজয় ও অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের কংগ্রেসে তলব করেছেন ডেমোক্র্যাটিক দলের নেতারা৷ ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের ফলে দেশজুড়ে চিঠিপত্র বিলির গতি ইতোমধ্যেই যেভাবে কমে গেছে, তার ফলে পোস্টাল ব্যালটকে ঘিরে ব্যবস্থাপনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ছেন বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিরা৷ ডাক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জেরা করে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে চান তাঁরা৷ প্রয়োজনে পালটা পদক্ষেপ নিয়ে ডাক বিভাগের কাজে বিঘ্ন দূর করার কথাও ভাবছেন তাঁরা৷ আইনি পথে ডাক বিভাগে কোনো রকম পরিবর্তন রোখার চেষ্টা করতে পারেন তাঁরা৷ বেশ কয়েকটি রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে এমন আভাস দিয়েছেন৷

বিরোধীদের অভিযোগ, জনমত সমীক্ষায় পিছিয়ে পড়ে নভেম্বরের নির্বাচন বানচাল করার মতলব করছেন ট্রাম্প৷ তিনি কোনো প্রমাণ ছাড়াই বার বার দাবি করে চলেছেন, যে বেশি ‘মেল-ইন’ ভোট দেওয়া হলে জালিয়াতি হতে পারে৷ অথচ ২০১৬ সালের নির্বাচনে প্রতি চার জন ভোটারের মধ্যে একজন এভাবে ভোট দিয়েছিলেন৷

সবকিছু পরিকল্পনামাফিক চললে ডেমোক্র্যাটিক দল ২০২০ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে ডাক বিভাগের সব পরিবর্তন নাকচ করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে শনিবারই এক প্রস্তাব অনুমোদন করতে পারে৷ তবে সংসদের নিম্ন কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা কাজে লাগিয়ে সেটা সম্ভব হলেও উচ্চ কক্ষে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকাল দল বাধা সৃষ্টি করতে পারে৷ তাই রাজ্য স্তরেও একই উদ্যোগ নিয়ে ও একাধিক আদালতের শরনাপন্ন হয়ে চাপ বাড়াতে চায় বিরোধীরা৷ ট্রাম্পের প্রচার অভিযানের আর্থিক মদতদারা হিসেবে পোস্ট মাস্টার জেনারেল ডিজয় সংসদে আসতে অস্বীকার করলে ডাক বিভাগের পরিচালকমণ্ডলীর মাধ্যমে তাঁকে পদচ্যুত করার কথাও ভাবছে ডেমোক্র্যাটরা৷

বিকল্প পদক্ষেপ হিসেবে করোনা সংকটের কারণে ডাকবিভাগের জন্য এককালীন বাড়তি আর্থিক অনুদানের উদ্যোগের কথাও ভাবছে ডেমোক্র্যাটরা৷ ট্রাম্প প্রথমে এমন পদক্ষেপের বিরোধিতা করলেও কোনো বৃহত্তর প্যাকেজের অংশ হিসেবে ডাকবিভাগের জন্য বাড়তি অর্থসংস্থানের পথে বাধা না দেবার ইঙ্গিত দিয়েছেন৷ রিপাবলিকান দলের একাংশও এমন অনুদানের পক্ষে৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য