1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান

২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩

ইরানের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচিকে ঘিরে সংকটের সমাধানে অগ্রগতির আশা দেখা যাচ্ছে৷ জন কেরি ও মহম্মদ জাভাদ জরিফের সংক্ষিপ্ত দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ও জেনিভায় পরবর্তী দফার বৈঠকে অগ্রগতির জন্য অপেক্ষা করছে গোটা বিশ্ব৷

https://p.dw.com/p/19pKa
U.S. Secretary of State John Kerry speaks to the media after a meeting of the foreign ministers representing the permanent five member countries of the United Nations Security Council, including Germany, at the U.N. Headquarters in New York September 26, 2013. U.S. and Iranian officials emerged upbeat on Thursday from a meeting on Iran's nuclear program but both sides also sounded a cautionary note, with the United States saying there was more work to do and Iran insisting on quick sanctions relief. REUTERS/Eric Thayer (UNITED STATES - Tags: POLITICS)
ছবি: Reuters

অবশেষে সেই অভাবনীয় দৃশ্য দেখা গেল৷ মার্কিন ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একই টেবিলে বসে আলোচনা করছেন৷ জন কেরি ও মহম্মদ জাভাদ জরিফ সরাসরি কথাও বলেছেন৷ দু'জনকে করমর্দন করতেও দেখা গেছে৷ কিছুক্ষণ পরস্পরের পাশাপাশিও বসেছেন৷ তবে সেই বৈঠক দ্বিপাক্ষিক ছিল না, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বাকি চার স্থায়ী সদস্য ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও তাতে অংশ নিয়েছিলেন৷ ইরানের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে সংকট এক ধাক্কায় কেটে যাচ্ছে, এমনটা মনে করার অবশ্য কারণ নেই৷ বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলির কণ্ঠে তাই কোনো উচ্ছ্বাস দেখা গেল না৷

ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানি তাঁর পূর্বসূরি মাহমুদ আহমাদিনেজাদের তুলনায় একেবারে নরম সুরে কথা বলছেন৷ বলছেন, শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সব সংকট কাটাতে চান তিনি৷ কিন্তু ইরানের অতীত রেকর্ডের কারণে তাঁর কথায় ভরসা রাখা সহজ নয়৷ এমনকি রোহানি নিজে এ বিষয়ে আন্তরিক হলেও ইরানের ক্ষমতার আসল রাশ যাঁর হাতে, সেই সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ খামেনেই কতটা ছাড় দিতে প্রস্তুত, তা পুরোপুরি স্পষ্ট নয়৷ তাই কথায় নয়, কাজেই প্রমাণ করতে হবে সে দেশ সংকট সমাধানে আদৌ কতটা আগ্রহী৷ সেই বার্তাই দেয়া হলো ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে৷ ইরানের পরমাণু কর্মসূচি যে সত্যি শান্তিপূর্ণ, হাতেনাতে তার প্রমাণ দিতে হবে৷

দেরি না করে আগামী ১৫ ও ১৬ই অক্টোবরে জেনিভায় ইরানের বর্তমান নেতৃত্বের আন্তরিকতার প্রথম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে৷ ইরানের আশা, নতুন দফার আলোচনা শুরুর এক বছরের মধ্যেই সংকটের সমাধান হয়ে যাবে৷ সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার প্রবল চাপ থেকে মুক্ত হতে পারবে সে দেশ৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটনও সংকটের দ্রুত নিষ্পত্তির আশা প্রকাশ করেছেন৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেরি ও তাঁর ইউরোপীয় সতীর্থরা ইরানের নেতৃত্বের কণ্ঠে নতুন সুর শুনে সন্তুষ্ট হয়েছেন বটে, তবে একটি মাত্র বৈঠকের ভিত্তিতে তাঁরা কোনো সিদ্ধান্তে আসতে নারাজ৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে বলেন, একেবারে অন্যরকম পরিবেশে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ তবে তিনিও শুধু কথা নয়, কাজ দেখতে চান৷ পরমাণু কর্মসূচির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা এবং তা যাচাই করতে ইরানের কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক পরিদর্শকদের ক্ষমতা বাড়াতে রাজি হলে তবেই অগ্রগতি হচ্ছে বলে মনে করবে পশ্চিমা জগত৷ কিছু পরমাণু কেন্দ্রে ২৪ ঘণ্টা ধরে ক্যামেরার নজরদারির ব্যবস্থাও চালু করার কথা হচ্ছে৷

NEW YORK, NY - SEPTEMBER 24: Iranian President Hassan Rouhani addresses the U.N. General Assembly on September 24, 2013 in New York City. Over 120 prime ministers, presidents and monarchs are gathering this week for the annual meeting at the temporary General Assembly Hall at the U.N. headquarters while the General Assembly Building is closed for renovations. (Photo by Brendan McDermid-Pool/Getty Images)
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানিছবি: Getty Images

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য