1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিইসরায়েল

মার্কিন ইহুদি নেতার মুখে নেতানিয়াহুর কড়া সমালোচনা

১৫ মার্চ ২০২৪

অ্যামেরিকার সবচেয়ে উচ্চপদস্থ ইহুদি নেতা ইসরায়েলের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করে নেতানিয়াহুর কড়া সমালোচনা করেছেন৷ এদিকে বাইডেন প্রশাসন পশ্চিম তীরের ইহুদি বসতিকারীদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/4dZKI
ইসরায়েলের বিমান হামলায় বিপর্যস্ত শহর খাল ইউনিসে ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে হাঁটছেন দুই ফিলিস্তিনি
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নানা আলোচনার পরও এখনও গাজায় শান্তি ফেরার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে নাছবি: Yasser Qudih/Xinhua/IMAGO

গত বছর ৭ই অক্টোবর সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাসের হামলার পর থেকে মার্কিন প্রশাসন ইসরায়েলের প্রতি প্রায় সীমাহীন সংহতি ও সমর্থন দেখিয়ে এসেছে৷ নির্বাচনের এই বছরে সে কারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজের সমর্থকদের একাংশের রোষের মুখে পড়েছেন৷ কিন্তু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু অ্যামেরিকাসহ সহযোগী দেশগুলির সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে যেভাবে গাজায় সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছেন, তার ফলে মার্কিন প্রশাসনের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে৷ বর্তমান সংকট কাটাতে কোনো রাজনৈতিক সমাধানসূত্রের তাগিদ না দেখানোর কারণেও নেপথ্যে ও প্রকাশ্যে নেতানিয়াহুর কড়া সমালোচনা শোনা যাচ্ছে৷

বৃহস্পতিবার মার্কিন সেনেটের শীর্ষ নেতা চাক শুমার ইসরায়েলে নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন৷ অ্যামেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে উচ্চপদস্থ ইহুদি নেতা হিসেবে শুমারের ক্ষোভভরা বক্তব্য বিশেষভাবে নজর কেড়েছে৷ ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাট দলের এই নেতা বলেন, গণতন্ত্র হিসেবে ইসরায়েলের নিজস্ব নেতৃত্ব নির্বাচনের অধিকার রয়েছে৷ ৭ই অক্টোবরের পর ইসরায়েলের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক হওয়া উচিত৷ ইসরায়েলের জনগণের জন্য বাছাইয়ের সেই সুযোগের পক্ষে সওয়াল করেন শুমার৷ তিনি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির পথে চারটি প্রধান বাধার উল্লেখ করেন৷ ইহুদি নেতা শুমারের মতে, নেতানিয়াহু, হামাস, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নেতা মাহমুদ আব্বাস ও ব়্যা়ডিকাল চরম দক্ষিণপন্থি ইসরায়েলিদের কারণেই শান্তির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না৷

চাক শুমার সরাসরি নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে চরমপন্থিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ করেন৷ এ প্রসঙ্গে তিনি গাজায় সামরিক অভিযানে নিরীহ মানুষের মৃত্যুর বিষয়ে নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভার দুই মন্ত্রীর উদাসীনতার উল্লেখ করেন৷ শুমারের মতে, এমন মনোভাবের কারণে গোটা বিশ্বে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন ঐতিহাসিক মাত্রায় কমে গেছে৷ তিনি বলেন, এমন একঘরে হয়ে ইসরায়েল টিকে থাকতে পারবে না৷

বলা বাহুল্য, নেতানিয়াহু ও তার লিকুদ দল শুমারের এমন মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে৷ লিকুদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘গর্বিত গণতন্ত্র' হিসেবে ইসরায়েল প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে নির্বাচিত করেছে৷ ওয়াশিংটনে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত মাইকেল হেরজগ এমন মন্তব্যের পরোক্ষ সমালোচনা করেছেন৷ এমনকি ইসরায়েলের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটও ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ‘চরম হস্তক্ষেপ' সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন৷ মার্কিন কংগ্রেসে বিরোধী রিপাব্লিকান দলও শুমারের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে৷

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে নেতানিয়াহু প্রশাসনের মনোভাব সম্পর্কে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছেন৷ হোয়াইট হাউস শুমারের বক্তব্য সম্পর্কে আগেভাগে জেনেও কোনো হস্তক্ষেপ না করায় বাইডেনের প্রচ্ছন্ন সমর্থন স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে৷ বৃহস্পতিবারই মার্কিন প্রশাসন পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের বসতিকারীদের উপর বাড়তি নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে নেতানিয়াহুর জোট সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে৷ ফিলিস্তিনিদের উপর লাগাতার হামলা ও হয়রানির অভিযোগে বেশ কয়েকজন চরমপন্থি বসতিকারীকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যোগ করা হয়েছে৷

এসবি/জেডএইচ (এএফপি, ডিপিএ)