1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসরায়েলের পাশে যুক্তরাষ্ট্র!

২০ জুন ২০১৮

বারাক ওবামা মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ২০০৯ সালে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের সদস্য হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র৷ মঙ্গলবার সেই সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন৷

https://p.dw.com/p/2zube
USA Washington Ankündigung Austritt aus UN-Menschenrechtsrat | Nikki Haley
ছবি: Reuters/T.S. Jordan

জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি নিকি হ্যালি এই ঘোষণা দেন৷ সঙ্গে ছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও৷ মানবাধিকার পরিষদের সদস্যদের ‘ভণ্ডামি' ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পরিষদের ‘পক্ষপাতমূলক আচরণ'এর অভিযোগ এনে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার জায়েদ রা'দ আল-হুসেইন সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে বক্তব্য রেখেছিলেন৷ মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানো অভিবাসনপ্রত্যাশী পরিবারের সন্তানদের তাদের মা-বাবার কাছ থেকে পৃথক করার ঘটনা ‘খুব অন্যায়' বলে মন্তব্য করেন তিনি৷

হাইকমিশনারের এই বক্তব্যের পরদিন মঙ্গলবার মানবাধিকার পরিষদ থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র৷ তবে হাইকমিশনারের বক্তব্যের সঙ্গে সদস্যপদ প্রত্যাহারের সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন হ্যালি ও পম্পেও৷ বরং একবছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার পরিষদে সংস্কার আনার যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল, তা সম্ভব নয় মনে করে যুক্তরাষ্ট্র এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান তাঁরা৷ হ্যালি বলেন, ‘‘মানবাধিকার পরিষদ অনেকদিন ধরেই মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের নিরাপত্তা দিয়ে আসছে৷ দুঃখের কথা হলো, আমরা যে সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছিলাম, তাতে কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি৷''

পরিষদ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যে ধারাবাহিকভাবে পক্ষপাতমূলক আচরণ করে আসছে, সেটা ‘খুব অন্যায়' বলে মন্তব্য করেন হ্যালি৷ এছাড়া পরিষদ ভেনেজুয়েলা,

কিউবার মতো দেশের তেমন সমালোচনা করেনি বলেও অভিযোগ তাঁর৷

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে মানবাধিকার পরিষদ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যত প্রস্তাবনা এনেছে, তার সংখ্যা বিশ্বের অন্যসব দেশের বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাবনার চেয়ে বেশি৷

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের জন্ম ২০০৬ সালে৷ তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ তখন এই পরিষদে যোগ দেননি৷ পরে বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ২০০৯ সালে পরিষদে যোগ দেয় যুক্তরাষ্ট্র৷

প্রতিক্রিয়া

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তে দুঃখ প্রকাশ করেছেন৷

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ মানবাধিকার পরিষদকে তিনি ‘ইসরায়েলবিরোধী সংস্থা' বলে আখ্যায়িত করেছেন৷

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে বলেছে, উত্তর কোরিয়া,সিরিয়া, মিয়ানমার, দক্ষিণ সুদানের মতো দেশের ক্ষেত্রে মানবাধিকার পরিষদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, কিন্তু মনে হচ্ছে ট্রাম্প শুধু ইসরায়েলকে রক্ষায় আগ্রহী৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোঘেরিনি মনে করছেন, মানবাধিকার পরিষদ থেকে সরে আসায় আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে৷

জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ)