মানতের সুতো খুলতে আজমের শরিফ যাচ্ছেন বচ্চন
৪ জুলাই ২০১১রাজস্থানের আজমের শহরে খাজা মঈন উদ্দিন চিস্তির স্মৃতিধন্য দরগায় মুসলিম-হিন্দু-শিখ নির্বিশেষে ভিড় করেন ভক্তরা৷ মনোবাসনা পূরণ হবে – এই আশায় প্রার্থনা করেন দরগায়৷ ইচ্ছাপূরণ হলে আবার ফিরে যান সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানাতে৷ মানত হিসেবে লাল রঙের সুতো বেঁধে দেন অনেকে৷ অনেকে আবার সেই লাল সুতো দিয়ে তাবিজ বাঁধেন৷
৪০ বছর আগে আজমেরের দরগায় গিয়ে এমনই এক সুতো বেঁধে এসেছিলেন সেদিনের উঠতি ‘অ্যাংরি ম্যান' অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন৷ আজ প্রায় ৬৮ বছর বয়সেও তিনি খ্যাতির শীর্ষে৷ যৌবন যেন আজও তাঁকে ছেড়ে যায় নি৷ ‘বুড্ঢা হোগা তেরা বাপ' ছবিতেও সেই মনোভাবই দেখিয়ে দিয়েছেন৷ ছবিটি বেশ সফলও হয়েছে৷ পুত্র অভিষেক প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা৷ একইরকম সফল পুত্রবধূ ঐশ্বর্য আজ সন্তানসম্ভবা৷ জীবনে এত প্রাপ্তির ফলে ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞ অমিতাভ৷ টুইটার বার্তায় লিখেছেন, ‘‘আজমেরের পথে৷ ৪০ বছর আগে শেষ গিয়েছিলাম৷ এর মধ্যে আমার জীবনে কত কিছু বদলে গেছে৷ কৃতজ্ঞতা ও প্রার্থনার সময় এসেছে৷ ৪০ বছর আগে যে মানত করেছিলাম, তা ফলে যাবার পর আমি সুতোর গিঁট খুলতে দরগায় যাচ্ছি৷''
কী মানত করেছিলেন অমিতাভ? পুত্রবধূ সন্তানসম্ভবা হলে বংশের বাতি জ্বলতে থাকবে – এমন কোনো প্রার্থনা তাঁর মনে ছিল কি? বচ্চন তাঁর ‘বর্ধিত টুইটার পরিবার'কে লিখেছেন, ‘‘দূর! ৪০ বছর আগে কেউ এতদূর ভাবতে পারে? আরে ওসব কিছু না৷ নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে ভাবুন৷ এটা আসলে একটি ব্যক্তিগত বিষয়৷''
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক