মাদ্রিদে মেসির ম্যাজিক
২৮ এপ্রিল ২০১১এজেন্সিগুলোর রিপোর্টে আবার সেই ‘ম্যাজেস্টিক মেসি', ‘ম্যাগনিফিসেন্ট মেসি'৷ খেলার ১৩ মিনিট বাকি থাকতে মেসির প্রথম গোলটা কাছ থেকে ভলি করে, কিন্তু দ্বিতীয় গোলটা স্বভাবসিদ্ধ বরফের ছুরি: রেয়ালের চার জন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে পেনাল্টি এরিয়ায় ঢুকে হিমশীতল ডান পায়ের ফিনিশ৷
গত ২০ এপ্রিল স্প্যানিশ কাপ ফাইনালের শেষে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো হেড করে যে গোলটা করে রেয়ালকে জিতিয়ে দেয়, মেসির এই ‘ডাবল'-কে তার জবাব বলা চলতে পারে৷ ডবল জবাব! সেকেন্ড লেগে বার্সেলোনার ন্যু ক্যাম্পে গিয়ে রেয়ালকে অন্তত তিন গোলের ব্যবধানে জিততে হবে৷
বুধবারের খেলাটা তো শুধু রোনাল্ডো বনাম মেসি নয়, দুই কোচের স্ট্র্যাটেজির সংঘর্ষও বটে৷ হোসে মুরিনহো তাঁর ঐ ডিফেন্ড এ্যান্ড কাউন্টার নীতির জন্য আগেও গালি খেয়েছেন, বিশেষ করে রেয়াল ফ্যানদের কাছ থেকে৷ ওদিকে বার্সার গেম হল ছোট ছোট পাসের মসৃণ খেলা৷ সেই খেলায় বাগড়া দেওয়ার জন্য রেয়াল মাঠের ঘাস কাটেনি, মাঠে জল দেয়নি৷ খেলার আগেই তাই নিয়ে অনুযোগ করেছেন বার্সার কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা৷
কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি৷ বার্সা নিজের কাছে বল রেখেছে শতকরা ৭১ ভাগ৷ রেয়ালের পিছনে থেকে প্রতিরক্ষা, সুযোগ পেলে আক্রমণের নীতির বারোটা বাজে ৬১ মিনিটের মাথায় তাদের মিডফিল্ডার পেপে বার্সার ড্যানি আলভেস'কে ফাউল করে লাল কার্ড দেখার ফলে৷ রেয়াল কোচ মুরিনহো তা'তে খেপে ওঠায় তাঁকেও মাঠ ছাড়তে হয়৷ এর আগেই হাফটাইমে সুড়ঙ্গে খেলোয়াড়দের হাতাহাতি, লাল কার্ড দেখে বার্সার রিজার্ভ গোলকিপার৷ জার্মান রেফারি হলদে কার্ডও দেখিয়েছেন পাঁচবার৷
তবুও মেসি কিংবদন্তীতে আরো একটি অধ্যায় যুক্ত হল৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম