ফুটবল বিতর্ক
৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২একদিকে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড, অন্যদিকে হলস্টাইন কিল৷ যথাক্রমে প্রথম ও চতুর্থ ডিভিশনের দুটি ক্লাবের মধ্যে কোনো ম্যাচের খবর সহজে সংবাদপত্রের শিরোনামে পৌঁছয় না৷ কিন্তু মঙ্গলবার স্টেডিয়ামের তাপমাত্রা মাইনাস ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গিয়েছিল৷ এমন হাড়-কাঁপানো শীতের মধ্যে আদৌ ফুটবল খেলার যৌক্তিকতা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে৷ এমনকি মাঠের কিছু অংশে বরফ জমে গিয়েছিল৷ গত ৪ বছরের মধ্যে এই প্রথম জার্মান কাপের সেমি ফাইন্যালে পৌঁছল ডর্টমুন্ড৷ কিন্তু ডর্টমুন্ড হলস্টাইন'কে ৪-০ গোলে হারানো সত্ত্বেও খুশি নন বিজয়ী দলের কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ৷ তাঁর মতে, ‘‘এ যেন ঘাসের উপর আইস-হকি খেলার মতো৷ পেশাদারি ফুটবলে এমনটা মেনে নেয়া যায় না৷ এমন ঠাণ্ডায় শুধু সেই সব স্টেডিয়ামেই খেলা যায়, যেখানে ঘাস গরম রাখার বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে৷'' কিল শহরের এই স্টেডিয়ামকে মঙ্গলবারের ম্যাচের জন্য প্রস্তুত করতে ঘাস ঢাকা দিয়ে গরম বাতাসের কল চালানো হয়েছিল বটে, কিন্তু তার প্রভাব বেশিক্ষণ থাকে নি৷ ইউরোপ জুড়ে শীতের থাবার কবল থেকে রেহাই পায় নি কিল শহরও৷
ক্লপ'এর আশঙ্কা ছিল, কোনো খেলোয়াড় এই অবস্থায় পড়ে গিয়ে চোট পেলে তার মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে৷ তাই ম্যাচের আগে ক্লপ তার খেলোয়াড়দের এতটাই সতর্ক করে দেন, যেন তারা বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলতে চলেছে৷ তার উপর আগামী শনিবার বুন্ডেসলিগায় ডর্টমুন্ড'এর প্রতিপক্ষ বায়ার লেভারজুজেন৷ তাই দলের খেলোয়াড়দের অক্ষত রাখা অত্যন্ত জরুরি৷
প্রশ্ন উঠছে, এমন বিপদের আশঙ্কা সত্ত্বেও কেন এই ম্যাচ বন্ধ করা হলো না? কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ বলেন, টেলিভিশন চ্যানেলের পক্ষ থেকে প্রবল চাপের মুখেই ম্যাচ বাতিল করা সম্ভব হয় নি৷
জার্মান কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যায় শেষ হবার পর আগামী ২০ ও ২১শে মার্চ দু'টি সেমি ফাইনাল এবং ১২ই মে বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক