1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘মাংসাশী’ ইউরোপে নিরামিষের জয়জয়কার

১২ মে ২০১০

জার্মানি সহ ইউরোপের অনেক দেশের খাবারেই মাছ-মাংসের বেশ আধিপত্য লক্ষ্য করা যায়৷ ইদানিং কিন্তু নিরামিষ খাওয়ার চল বাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/NLr2
নিরামিষ সসেজছবি: AP

সপ্তাহে একদিন নিরামিষ খেলে কেমন হয়? বেলজিয়ামের গেন্ট শহরে এক বছর আগে ঘটা করে এই রীতি চালু করা হয়েছিল৷ এর আওতায় প্রতি বৃহস্পতিবার মানুষকে নিরামিষ খেতে উৎসাহ দেওয়া হয়৷ বিশ্বের প্রথম সাপ্তাহিক ‘ভেজিটেরিয়ান ডে' পালনের গৌরব অর্জন করেছে এই শহর৷

জার্মানির নিরামিষাশীদের সংগঠন এই আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে জার্মানিতেও এমন রীতি চালু করতে চায়৷ সপ্তাহে একদিন শহরের সব রেস্তোরাঁ, ক্যান্টিন ও খাবার দোকানে শুধুমাত্র নিরামিষ খাবার পরিবেশন করার প্রস্তাব দিচ্ছে এই সংগঠন৷ চলতি বছরের শুরু থেকেই ব্রেমেন শহরে এমন ‘ভেজিটেরিয়ান ডে' পালন করা হচ্ছে৷

কিন্তু শুধু নিয়ম চালু করলেই হবে? সাধারণ মানুষ বিষয়টি কীভাবে নেবেন? এক জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী জার্মানিতে প্রায় ৭৩ শতাংশ মানুষ মাঝে মধ্যে নিরামিষ খেতে প্রস্তুত৷ ৪৫ শতাংশ মানুষ সপ্তাহে একদিন মাছ-মাংস খান না৷ শুধু স্বাস্থ্যের উন্নতি নয় – পশু-পাখিদের প্রতি মমতা, পরিবেশ সংরক্ষণ ইত্যাদিও নিরামিষ খাওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে৷

সামগ্রিকভাবেও জার্মানিতে নিরামিষ খাওয়ার চল বাড়ছে৷ এমনকি ম্যাকডোনাল্ডস'এর মত দোকানেও নিরামিষ বার্গার পাওয়া যায়৷ অতীতে রেস্তোরাঁয় গিয়ে নিরামিষ খাবার চাইলে অনেক সময়ে ওয়েটার'এর তীর্যক দৃষ্টি দেখা যেত৷ এখন মেনু কার্ডে কিছু নিরামিষ খাবার খুঁজে পাওয়া যায়৷

জার্মানি তথা ইউরোপে শুদ্ধ নিরামিষাশীর সংখ্যা হয়তো এখনো নগণ্য, কিন্তু মাঝে মধ্যে নিরামিষ খাবার খান – এমন মানুষের সংখ্যা বাড়ছে বৈকি৷ এঁদের বলা হচ্ছে ‘ফ্লেক্সিটেরিয়ান'৷ মূলত তাঁরা স্বাস্থ্যের কারণেও মাছ-মাংস কম খাওয়ার পক্ষপাতী৷

একটি জাতীয় সমীক্ষা অনুযায়ী ২০০৮ সালে জার্মানির জনসংখ্যার মাত্র ১.৬ শতাংশ শুদ্ধ নিরামিষাশী ছিল৷ অবশ্য জার্মানির নিরামিষাশীদের সংগঠনের হিসেব অনুযায়ী প্রায় ৭ থেকে ৮ শতাংশ মানুষ নিয়মিত নিরামিষ খাবার খান৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক