জেএমবির অর্থের খোঁজে গোয়েন্দারা
২৫ ডিসেম্বর ২০১৫এ নিয়ে গত একমাসে বাংলাদেশে অন্ততপক্ষে চারটি মসজিদে হামলার ঘটনা ঘটলো৷ এর আগে গত ১৯শে ডিসেম্বর শুক্রবার জুমার নামাজের সময় চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বিএনএস ঈশা খাঁ ঘাঁটিসংলগ্ন মসজিদ ও নেভি হাসপাতালসংলগ্ন মসজিদে বোমা হামলা চালানো হয়৷ তাতে ছয়জন আহত হন৷ এরপর গত ২৬শে নভেম্বর মাগরিবের নামাজের সময় বগুড়ার শিয়া মসজিদে ঢুকে মোয়াজ্জিমকে গুলি করে হত্যা করা হয়৷
মসজিদ ছাড়াও এ সময়ে মন্দির, মন্দিরের পুরোহিত ও যাজকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশে৷ এ সব হামলায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহেদিন (জেএমবি) জড়িত বলে দাবি করছে পুলিশ৷
এদিকে ঢাকা মাহানগর গোয়েন্দা পুলিশ বৃহস্পতিবার ঢাকার মিরপুরের একটি বাড়ি থেকে সাতজন জেএমবি সদস্য, ১৭টি দেশীয় গ্রেনেড এবং বিস্ফোরক ও জিহাদী বই উদ্ধার করেছে৷ গোয়েন্দা বিভাগের জঙ্গি বিষয়ক সেলের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সানোয়ার হোসেন ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘মিরপুরের ঐ বাড়িটি তারা তাদের অফিস হিসেবে ব্যবহার করতো৷ তারা এখানে বসেই নানা ধরনের হামলার পরিকল্পনা করে৷'' তবে সানোয়ার হোসেনের দাবি, ‘‘জেএমবি এখন আর আগের মতো শক্তিশালী নয়৷ তাদের হামলার প্রধান উদ্দেশ্য হলো নিজেদের অবস্থানের জানান দেয়া এবং নতুন সদস্যদের আকৃষ্ট করা৷''
তিনি জানান, ‘‘‘জেএমবি' তাদের সদস্য এবং তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করছে৷ আমরা তাদের একটি তালিকা করছি৷ এছাড়া তারা দেশের বাইরে থেকেও অর্থ পায়, বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের একটি গ্রুপ তাদের অর্থ সহায়তা দিয়ে থাকে৷''
সানোয়ার হোসেন আরো জানান, ‘‘জেএমবি এখন স্লিপার সেল পদ্ধতিতে কাজ করে৷ তারা ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ হয়ে তৎপরতা চালায়৷ তাই তাদের মূল নেতৃত্বে এখন কারা আছে, তা এখনও জানা যায়নি৷ কারণ তাদের এক গ্রুপ আরেক গ্রুপের পুরো খবর জানে না৷''
তাঁর কথায়, সাভারে ব্যাংক ডাকাতি, পুলিশ হত্যা, হোসেনি দালান এলাকায় আশুরার মিছিলে হামলা – এ সবই জেএমবির কাজ৷ তারা মসজিদ, মন্দিরসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে হামলার সঙ্গেও জড়িত৷
আপনাদের কী মনে হয়? জেএমবির মতো একটা দলকে কারা আর্থিক সাহায্য করছে? জানান নীচের ঘরে৷