1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মলডোভা কি ইউক্রেনে ঢুকে যাবে?

১ জুন ২০২৩

ইউরোপের অন্যতম ছোট রাষ্ট্রটিতে শুরু হচ্ছে ইউরোপীয় পলিটিকাল কমিউনিটি সামিট। ইউক্রেন নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হওয়ার কথা।

https://p.dw.com/p/4S2VJ
মলডোভায় ইউরোপীয় পলিটিকাল কমিউনিটির সম্মেলন
ছবি: Vladislav Culiomza/REUTERS

ইউরোপের অন্যতম ছোট এবং দরিদ্র রাষ্ট্র মলডোভা। সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অংশ হয়েছে দেশটি। এবং তারপরেই ইউরোপীয় পলিটিকাল কমিউনিটি (ইপিসি) সামিটের দায়িত্ব পড়েছে তার ঘাড়ে। বৃহস্পতিবার মলডোভার রাজধানীর সামান্য দূরে মিমি ক্যাসেল এবং ওয়াইনারিতে একত্রিত হবেন বিশ্বনেতারা। ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছে গেছেন ৪৭টি দেশের রাষ্ট্রনেতারা।

রাশিয়া এবং বেলারুশ ছাড়া ইউরোপের অধিকাংশ দেশই এই গোষ্ঠীর অন্তর্গত। আরো বেশ কিছু দেশকে এর ভিতরে ঢোকানোর পরিকল্পনা আছে। বস্তুত, তুরস্ক, আজারবাইজান, আর্মেনিয়ার মতো দেশগুলিকেও এই সামিটে অংশ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, কসোভো, বসনিয়াও এতে অংশ নেবে বলে জানা গেছে।

ইউক্রেন যুদ্ধে লক্ষ্যবস্তু খুঁজে পেতে জার্মান ড্রোন

ইউক্রেন আলোচনা

গুরুত্বপূর্ণ এই সামিটে ইউক্রেন নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হবে। কীভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আরো বেশি করে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াতে পারে, সে বিষয়ে কথা বলবেন সকলে। বস্তুত, এর আগে প্রথম ইপিসি হয়েছিল প্রাগে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা প্রায় সলকলেই সেখানে একটি বিষয়ে কার্যত সহমত হয়েছিলেন-- ইপিসি আলোচনার অন্যতম শ্রেষ্ঠ মঞ্চ। ফলে ইউক্রেনকে সামনে রেখে আরো বিস্তারিত আলোচনার সম্ভাবনা আছে এই বৈঠকে।

মলডোভার ভবিষ্যৎ

একদিকে রোমানিয়া এবং অন্যদিকে ইউক্রেন এর মাঝে ছোট্ট রাষ্ট্র মলডোভা। ১৯৯২ সালে এই রাষ্ট্রের একটি অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। রাশিয়া ঘনিষ্ঠ এই অংশের নাম ট্রান্সনিস্ট্রিয়া। বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর ওই অঞ্চলে রাশিয়া তাদের সেনা মোতায়েন করে দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি বড় প্রশ্ন হলো, ইউক্রেনের পর রাশিয়া আরো পশ্চিমে অগ্রসর হবে কি না। সেক্ষেত্রে মলডোভাকে গ্রাস করা রাশিয়ার পক্ষে খুব কঠিন কাজ নয়। এই বিষয়টি মাথার রেখে মলডোভাকে ক্রমশ ইউক্রেনের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চলছে। এবারের সামিটে এই বিষয়টিও গুরুত্ব পাবে।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ

এই সামিটের আরেকটি লক্ষ্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে সকলকে একত্রিত করা। সে কারণেই ইউরোপায় ইউনিয়নের বাইরেও বেশ কিছু দেশকে এখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ইউরোপীয় নেতাদের অনেকেই মনে করেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে আরো বড় করা প্রয়োজন। কিন্তু ইইউ-তে যুক্ত হওয়ার নিয়ম খুবই কঠিন। সেই নিয়ম কীভাবে বদলানো যায়, রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরো শক্তিশালী মঞ্চ কীভাবে গড়ে তোলা যায়, এই সমস্ত বিষয়গুলিই আলোচনা হবে এই সামিটে। জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শলৎস এবিষয়ে ইতিমধ্যেই আশা প্রকাশ করেছেন। এই সামিট থেকে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশ পাওয়া যাবে বলেই তিনি মনে করেন। গত ইপিসি-তে মাক্রোঁ বলেছিলেন, ইউরোপীয় দেশগুলির ছোটবেলার সমস্যা হলো, তারা মাঝে মাঝেই গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। সেই রাস্তা থেকে সরে গিয়ে সকলকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একত্রিত হতে হবে।

বস্তুত, ইউরোপের একাধিক দেশে কার্যত গৃহযুদ্ধের আবহাওয়া। আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার মধ্যে গণ্ডগোল চলছে। তুরস্কের নিজস্ব সমস্যা আছে। কসোভোয় বিক্ষোভ চলছে। বসনিয়া দীর্ঘ সময় লড়াই দেখেছে। এই ছোট ছোট লড়াইগুলি থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে শক্তিশালী ইউরোপ তৈরি হবে না বলেই মনে করেন ফরাসী প্রেসিডেন্ট।

বার্নড রিয়েগার্ট/এসজি (রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ)