মরশুম শুরু হলেও পাট কেনার ক্যালেন্ডার তৈরি হয়নি
১৭ জুলাই ২০১১দেশে শুরু হয়েছে পাটের মৌসুম৷ তবে এখনও পাট কেনার ক্যালেন্ডার তৈরি হয়নি৷ এবার পাটের উৎপাদন বাড়ায় নায্য দাম পাওয়া নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা৷ দাম কিছুটা কম পেলেও ক্ষতিগ্রস্থ হবেন না কৃষকরা এমনটাই আশ্বাস দিয়েছে সরকার৷ পাটের শুভ দিন ফেরার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকদের পাটের নায্য দাম দিতে ক্যালেন্ডার তৈরী করে পাটের সরকারী ক্রয়মূল্য ঘোষণার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা৷
২০০২ সালে আদমজী পাটকল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর পাট শিল্পের যে অন্ধকার সময় শুরু হয়েছিল তা ধীরে ধীরে কাটতে শুরু করেছে৷ কৃষক ফিরে পেয়েছেন সোনালী আঁশের শুভ দিন৷ পাটের উৎপাদন বাড়ছে প্রতিবছরই৷ তবে কৃষকরা পাচ্ছেন না নায্য দাম৷ অর্থনীতিবিদ আবুল বারাকাত মনে করেন, চলতি বাজারেই মণপ্রতি তিন হাজার টাকা দাবী করতে পারেন কৃষক৷ তবে দুই হাজার টাকা পেলেও ক্ষতিগ্রস্থ হবেন না তারা৷
গত বছরের ১০৩টি সরকারী ক্রয় কেন্দ্রের জায়গায় এবার ১৩০টিতে বাড়ানো হলেও অর্থনীতিবিদদের দাবী, এ সংখ্যা কমপক্ষে এক হাজার হতে হবে৷ তবে এবার উৎপাদিত পাটের নায্য মূল্য নিয়ে কৃষককে দুশ্চিন্তা না করতে বললেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব আশরাফ মগবুল৷ তিনি বলেন, খুব শিগগিরই পাটের সরকারী ক্রয়মূল্য ঘোষণা করা হবে৷
গবেষকরা বলছেন, বরাবরই কৃষকরা পাট চাষ করে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন৷ তবে সরকারকে জোর দিয়ে বলতে হবে তারা পাট কিনবে৷ তাহলে ফরিয়াদের হাত থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পাবে কৃষক৷ পাট দিয়ে কাগজ তৈরীর কারখানাসহ জাতীয় পাট নীতির অনুমোদন হলে কৃষক পাট চাষ করে আশানুরূপ বিক্রয়মূল্য পাবে বলে আশা করেন তারা৷
প্রতিবেদন : সমীর কুমার দে, ঢাকা
সম্পাদনা : অরুণ শঙ্কর চৌধুরী