1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আনতে সরাসরি কথা হোক, চান ওবামা

৭ জুলাই ২০১০

আশি মিনিট ধরে গভীর আলোচনা হয়েছে ওবামার সঙ্গে নেতানিয়াহুর৷ তারপর ওবামা বললেন, মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা হোক সরাসরি৷ ওয়াশিংটন-জেরুসালেম সম্পর্কের ওপরেও মধুর প্রলেপ পড়ল হোয়াইট হাউজে দুই নেতার বৈঠকে৷

https://p.dw.com/p/OCDs
Benjamin Netanyahu & Barack Obama
নেতানিয়াহু ও ওবামা – শৈত্য কেটে গিয়ে আবার উষ্ণতার ছোঁয়াছবি: AP

সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব

কারণটা খুব স্পষ্ট৷ ইসরায়েল প্যালেস্টাইনের মধ্যে কয়েক দশকের চলতি ঝামেলা থামাতে আন্তর্জাতিক মহল, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে মধ্যস্থতার চেষ্টা করে আসছে তাতে কোন সুফল সেভাবে দেখা যাচ্ছে না৷ ওবামা প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যের জন্য জর্জ মিশেলকে বিশেষ দূতের কাজ দিয়েছিলেন৷ দেখা গেছে তিনিও ব্যর্থ৷ বিষয়টা বোঝাই যাচ্ছে যে তৃতীয়পক্ষকে মাঝে রেখে কোনদিনই মিটবে না দুই প্রতিবেশীর বখেরা৷ বিশেষ করে পৃথক প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র গড়ে তোলার পথের কাঁটা দূর করাটা প্রায় অবাস্তব দেখাচ্ছে অধিকৃত প্যলেস্টাইনি ভূখন্ডে ইসরায়েলের বসতি সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত বাতিল না করার ফলে৷ সুতরাং, ওবামার প্রস্তাব, আর মধ্যস্থতা নয়, কথা হোক সরাসরি৷ কারণ হল টাইমলাইন৷ ইসরায়েল তাদের চলতি বসতি সম্প্রসারণ আগামী সেপ্টেম্বরে আংশিকভাবে বন্ধ করবে৷ কূটনৈতিক দিক থেকে দেখলে প্যালেস্টাইনের আলোচনায় না আসার মূল আপত্তির জায়গাটা তখন বন্ধ থাকছে, অন্তত আংশিকভাবে৷ আর ওবামা চাইছেন, সেই সময়টাকে বিশেষ করে কাজে লাগাতে৷ তাই তিনি বলছেন, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের নেতারা মুখোমুখি বসে বাকি সমস্যাগুলো মিটিয়ে ফেলুন৷

NO FLASH Benjamin Netanyahu bei einem Treffen mit Barack Obama
মতভেদ সত্ত্বেও এগিয়ে যেতে চান দুই নেতাছবি: AP

নেতানিয়াহুর বক্তব্য

নেতানিয়াহু দৃশ্যতই কিছুটা আশ্বস্ত৷ আশ্বস্ত, কারণ গত বছর থেকে ইসরায়েলি সংসদ নেসেট প্রবল মার্কিন চাপের মুখেও বসতি সম্প্রসারণ বন্ধ করতে কিছুতেই রাজি হয় নি৷ অতএব গত মার্চে তিনি যখন ওয়াশিংটন সফরে এসেছিলেন, তাঁকে বেশ শীতল অভ্যর্থনার মুখে পড়তে হয়েছিল৷ ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাদপ্রতিম দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্কের ওপরেও কিছুটা কালো ছায়া ফেলেছিল সেই ঘটনা৷ কিন্তু এবারে নেতানিয়াহু নিজেই প্রস্তাব দিচ্ছেন বসতি সম্প্রসারণ আংশিক বন্ধ করতে চেয়ে৷ সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে তিনি একথাও বলেছেন, ইসরায়েলি নেতৃত্ব চায় প্যালেস্টিনিয় নেতাদের সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলতে৷ সাংবাদিক সম্মেলনেও চোখে পড়েছে সেই উদ্যোগ৷ এমনকি ওবামাকেও নেতানিয়াহুর প্রশংসা করে বলতে শোনা গেছে, শান্তি উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী৷

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি

মার্চের শীতল বৈঠকের পর এই বৈঠকটির সাফল্যের দিকে তাকিয়ে ছিল পর্যবেক্ষক মহল৷ নেতানিয়াহু যে কিছু নতুন প্রস্তাব দেবেন সেটা মোটের ওপর বোঝা যাচ্ছিল৷ ব্যাপার হল, এই সরাসরি কথা বলার প্রস্তাব ওবামার দিক থেকে আসার পর এবার কিছুটা হলেও চাপে পড়ে যাবেন প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস৷ এমনিতেই গাজার দখলদার হামাস এবং তাদের ইসরায়েল বিরোধী অবস্থান নিয়ে চাপের মধ্যে আছেন আব্বাস৷ দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সরাসরি শুরু করতে এবার আব্বাসের ওপর মার্কিন চাপও তৈরি হবে৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা : সঞ্জীব বর্মন