মকবুল ফিদা হুসেনের ইন্তেকাল
৯ জুন ২০১১২০০৬ সাল থেকে মকবুল ফিদা হুসেন নির্বাসিত জীবন যাপন করছিলেন৷ তিনি বসবাস শুরু করেন কাতারে৷ মকবুল ফিদা হুসেনকে ভারতের ‘পিকাসো' বলে আখ্যা দেয়া হয়৷ লন্ডনের রয়্যাল ব্রম্পটন হাসপাতালে তিনি মারা যান৷ ভারতের বেশ কিছু টেলিভিশন চ্যানেল জানিয়েছে, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান৷ এছাড়া তাঁর ফুসফুসও ঠিকমতো কাজ করছিল না৷
নবীন চিত্রকর জিতিশ কাল্লাত এনডিটিভিকে আক্ষেপের সঙ্গে বলেন,‘‘ভারতের সৌভাগ্য হয়নি গত কয়েক মাসে ফিদা হুসেনকে দেখার৷ তাঁর মৃত্যু ভারতের জন্য একটি বিশাল শূন্যতা বয়ে আনবে৷'' জিতিশ কাল্লাত ফিদা হুসেনের চেয়ে বয়সে অনেক ছোট এবং অভিজ্ঞতাও তুলনামূলকভাবে কম৷ কিন্তু তারপরেও ফিদা হুসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন তিনি৷ তিনি বলেন,‘‘চিত্রকর হওয়ার অর্থ কী তা ফিদা হুসেনই এদেশে প্রথম স্পষ্ট করে জানিয়েছেন৷''
মুম্বইয়ে বড় হয়েছেন মকবুল ফিদা হুসেন৷ হিন্দু দেবী সরস্বতীর নগ্ন একটি স্কেচ আকার পর হিন্দু উগ্র মৌলবাদীরা ভীষণভাবে ক্ষিপ্ত হয়৷ হিন্দুদের বিশ্বাসের ওপর আঘাত হানা হয়েছে – এই অভিযোগ আনা হয় ফিদা হুসেনের বিরুদ্ধে৷ এরপরই তার ওপর চড়াও হয় হিন্দু মৌলবাদীরা৷ ফলে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন মকবুল ফিদা হুসেন৷ ২০০৬ সালে থেকে তিনি কাতারে বসবাস শুরু করেন এবং ২০১০ সালে কাতারে নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন৷
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন