1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ভোটটা যেন জনগণ দিতে পারে, সেটাই লক্ষ্য'

৩ জুন ২০২২

আওয়ামী লীগ সরকারকে ‘ফ্যাসিবাদী' আখ্যা দিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের নেতা জোনায়েদ সাকি জানিয়েছেন, আন্দোলন ছাড়া এই রাজনৈতিক ব্যবস্থা বদলানো সম্ভব নয়৷ সেজন্য তারা আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/4CGyy
Khaled Muhiuddin Asks | SM Kamal Hossain and Zonayed Saki
ছবি: DW

শুক্রবার ‘‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়'' টকশোতে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন সাকি৷ তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের লক্ষ্য হচ্ছে ২০৪০ সাল পর্যন্ত এমন প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করে ক্ষমতায় টিকে থাকা৷ সেটা প্রতিরোধে সংবিধান সংস্কার করে রাজনৈতিক ও নির্বাচন ব্যবস্থার পরিবর্তন দরকার৷

‘‘আওয়ামী লীগ নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে এই সংস্কারে রাজি হবে না৷ তাই আন্দোলনের বিকল্প নেই,'' বলেন তিনি৷

সাকি যোগ করেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা৷ তিনি বলেন, ‘‘সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থা সংস্কারের যে প্রস্তাবগুলো তারা করছেন তা বিএনপি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে৷ এই আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপির সঙ্গে জোট বা পরে নির্বাচনে জয়ী হলে সরকার গঠনের কোন যোগসূত্র আপাতত নেই৷''

অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের প্রধান খালেদ মুহিউদ্দীনের এক প্রশ্নের জবাবে জোনায়েদ সাকি জানান, তারা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চান৷ সেক্ষেত্রে বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে৷

অনুষ্ঠানে আরো অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন৷ তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আলোচনার ভিত্তিতে নির্বাচন হতে পারে৷ তবে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থেকেই এই কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে৷''

২০১৮ সালের নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে স্বীকার করলেও তিনি তার জন্য বিরোধী দলগুলোকে দায়ী করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন সুষ্ঠু হতে হলে শক্তিশালী বিরোধী দল থাকা দরকার৷ তারা মাঠে না থাকলে, ভোটকেন্দ্রে তাদের এজেন্টরা না থাকলে কিছুটা কারচুপি হবেই৷ তখন অতি উৎসাহী সমর্থকরা কারচুপি করে৷'' 

তিনি দাবি করেন, জনগণ বর্তমান সরকারের সঙ্গে আছে৷ তাই এই সরকার এখনো টিকে আছে৷

‘‘২০১৮ সালের নির্বাচনের পর তো কেউ রাস্তায় নামেনি৷ কেউ এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেনি,'' যুক্তি দেন তিনি৷

জেডএ/এআই