1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভাষা আন্দোলন

১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২

বাহান্ন’র ভাষা আন্দোলনের একজন সক্রিয়া কর্মী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম৷ মাতৃভাষা বাংলার দাবিতে একুশে ফেব্রুয়ারি রাস্তায় নেমেছিলেন তিনি৷ সেসময় তিনি কিছু ছবি তুলেছিলেন, যেগুলো এখন ভাষা আন্দোলনের প্রামাণ্য দলিল৷

https://p.dw.com/p/143Tf
ছবি: AP

বাহান্ন'র ভাষা আন্দোলনকে ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম৷ সেসময় খুব কম মানুষ ভাষা আন্দোলনের ছবি তোলার সুযোগ পেয়েছিলেন৷ বাহান্নর আন্দোলনের প্রথম শহীদ রফিকউদ্দিন আহমেদের মরদেহ দেখেছেন রফিক৷ সেসময় শহীদ আবুল বরকতকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনতে সহায়তাও করেন তিনি৷

সর্বস্তরে প্রতিষ্ঠা হয়নি বাংলাভাষা

বাহান্ন সালে রফিকুল ইসলাম ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী৷ একুশে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা বাংলার দাবিতে রাজপথে অবস্থান নেন তিনিসহ অনেকে৷ সেই একুশে ফেব্রুয়ারি'র ষাট বছর পর খানিকটা আক্ষেপ প্রকাশ করলেন রফিকুল৷ স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে রাষ্ট্রভাষা বাংলাকে সর্বস্তরে পুরোপুরি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি, যেটা তাঁর জন্য কিছুটা হতাশার৷ রফিকুল বলেন, ‘‘উচ্চ আদালতে এখনো বাংলা ভাষা প্রবেশাধিকার পায়নি৷''

বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা চর্চা

বাংলাদেশে সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষার চর্চা তেমন একটা নেই বলেই মনে করেন রফিকুল ইসলাম৷ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষাকে বিষয় হিসেবে নিয়ে পড়ার সুযোগ থাকলেও তার পরিধি খুবই কম, মনে করেন রফিকুল৷ তাঁর কথায়, ‘‘বাংলাদেশে ইংরেজি মাধ্যম যে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রয়েছে সেখানে বাংলা ভাষা অপাঙক্তেয়৷''

বর্তমানে ইন্টারনেটে কিংবা এসএমএস-এ রোমান হরফে বাংলা লেখার বিষয়টির কড়া বিরোধী রফিকুল ইসলাম৷ তাঁর মতে, এগুলো ভাষাকে বিকৃত করছে৷ তিনি বলেন, ‘‘এসএমএস এবং ফেসবুকে বিকৃত বাংলার পরিচর্যা করছে আমাদের তরুণ সমাজ৷ সেখানকার জন্য প্রয়োজনীয় কী-বোর্ড বা সফটওয়্যার এখন পর্যন্ত বোধহয় তৈরি হয়নি৷ আমি অন্তত জানিনা৷''

‘জগাখিচুড়ি'

এফএম রেডিও-র ইংরেজি বাংলা মেশানো জগাখিচুড়ি ভাষা নিয়েও আপত্তি রয়েছে এই ভাষা আন্দোলনকারীর৷ তাঁর মতে, ভাষার এই পরিবর্তন গ্রহণযোগ্য নয়৷ এছাড়া টেলিভিশনের সিরিয়ালগুলোতে যে ভাষা ব্যবহার করা হচ্ছে, ওটা কোন প্রমিতও নয়, কোন অঞ্চলের উপভাষাও নয়, বলেন রফিকুল৷

বর্ষীয়ান এই ভাষা আন্দোলনকারী মনে করেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার চল্লিশ বছর পূর্তি হলেও এখনো বাংলাদেশে বড় মাপের লেখককের সংখ্যা খুব বেশি হবেনা৷ ভাষাক্ষেত্রে নৈরাজ্যকে এই ঘাটতির কারণ হিসেবে মনে করেন তিনি৷ এভাবে চলতে থাকলে ভাষা সম্রাজ্যবাদের আগ্রাসনে একসময় বাংলা ভাষাও বিলীন হয়ে হয়ে যেতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন রফিকুল ইসলাম৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য