ভারত-ইইউ
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২নতুনদিল্লিতে ভারত-ইইউ শীর্ষ বৈঠকে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট হারম্যান রমপয় এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জোসে মানুয়েল বারোসোর সঙ্গে আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং বলেন, ব্যাপক-ভিত্তিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ চুক্তি নিয়ে আলোচনায় যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে, কিন্তু কিছু জটিল ইস্যু রয়ে গেছে, সেগুলির মীমাংসায় উভয়পক্ষই দ্রুত ব্যবস্থা নেবে৷ উল্লেখ্য, প্রস্তাবিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি ঝুলে আছে ২০০৭ সাল থেকে৷
অনুরূপ আশা ব্যক্ত করে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট বারোসো বলেন, আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি৷ চুক্তির রূপরেখা চূড়ান্ত প্রায়৷
ইউরোজোন সঙ্কটের উল্লেখ করে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট হারম্যান রমপয় বলেন, ইউরোজোনের স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে এবং কর্মমুখি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে ইইউ কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ড. সিংকে অবহিত করা হয়৷ ইওরো এবং ইওরোজোনের ভিত্তি মজবুত রাখতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ৷
আলোচনায় ইরানের পরমাণু কর্মসূচির প্রসঙ্গ ওঠে৷ ইরানকে আলোচনার টেবিলে আনতে ভারতের দিক থেকেও যাতে চাপ আসে তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়৷ উত্তরে প্রধানমন্ত্রী ড. সিং বলেন, ইরানের পরমাণু ইস্যুর মীমাংসা করতে হবে কূটনৈতিক পথে৷ পারস্য উপসাগরীয় এলাকায় ৬০ লক্ষ ভারতীয় থাকে৷ তাদের নিরাপত্তার কথাও মনে রাখতে হবে ভারতকে, বলেন প্রধানমন্ত্রী৷
ইরানের পরমাণু কর্মসূচির জন্য ইইউ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তাতে ভারতের সায় নেই৷ উল্লেখ্য, ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে এবং তেল সরবরাহে বিনিময়-ভিত্তিক লেনদেনে রাজি হয়েছে ভারত৷ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ইরানের ওপর ইইউ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপে যে সুযোগ তৈরি হয়েছে ভারত তার সদ্বব্যবহার করতে চায়, তাতে অন্যায় কী আছে ?
মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিরোধিতা করে ভারতের মোটর গাড়ি শিল্প বলেছে, ইইউকে শুল্ক সুবিধা দিলে মার খাবে ভারতের অটো শিল্প৷ ইইউ চাইছে, ভারত তার পরিষেবা ক্ষেত্র খুলে দিক যার মধ্যে পড়ে ব্যাঙ্কিং ও অন্যান্য আর্থিক পরিষেবা৷ ২৭টি দেশের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্যিক পার্টনার৷ ১৪% বিদেশি বাণিজ্য হয় এদের সঙ্গে৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক