ভারতে প্রতি বছর ৪ লাখ শিশু মারা যায়
৬ অক্টোবর ২০০৯সেইভ দ্যা চিলড্রেন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যুর দিক থেকে বিশ্বে ভারতের অবস্থান পঞ্চম৷ দেশটির অর্থনীতিতে উন্নতির ব্যাপক ছোঁয়া লাগলেও চিকিৎসা খাত এখনো অবহেলিত৷ সংস্থাটির প্রধান থমাস চ্যান্ডি জানান, ভারতে সকল নাগরিককে চিকিৎসা সেবা দেয়ার সরকারি উদ্যোগ থাকলেও, বাস্তবে শিশুদের চিকিৎসা সেবায় তা কোন প্রভাব রাখতে পারেনি৷
তিনি জানান, যদিও সেখানে সকলকে চিকিৎসা সেবা দেয়ার আগ্রহ এবং প্রয়োজনীয় উপকরণ রয়েছে, তথাপি তা অনেক জায়গায় মানুষের নাগালের বাইরে রয়ে গেছে৷
তিনি আরো জানান, শিশুরা যেখানে বা যেভাবে জন্ম নিক না কেন, তাদের সমানভাবে চিকিৎসা পাবার এবং বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে৷ আর তাদের সেই অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদের সবার৷
ভারতের সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যুহার প্রতি হাজারে ৭২ জন, যা পাশের দেশ বাংলাদেশের চেয়েও বেশি৷ শুধু তাই নয়, ভারতে প্রতি বছর ২০ লাখেরও বেশি শিশু পাঁচ বছর বয়স পার হওয়ার আগেই মারা যায়৷ এসব শিশু মৃত্যুর কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে পুষ্টিহীনতা, নিউমোনিয়া এবং ডায়েরিয়া৷ সেইভ দ্যা চিলড্রেন সংগঠনের মতে এসব কারণ বা রোগ খুব সহজেই এবং স্বল্প খরচে প্রতিরোধ সম্ভব৷
চ্যান্ডির মতে, ভারতে সদ্যোজাত শিশু মৃত্যুর এই হারে পরিবর্তন আনা সম্ভব৷ এজন্য দেশের মানুষদের সচেতন হতে হবে৷ তাদেরকে বোঝাতে হবে কত সহজে একটি শিশুর জীবন বাঁচানো যায়৷
১৪টি দেশের উপর গবেষণার ভিত্তিতে সেইভ দ্যা চিলড্রেন এর প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, সারা বিশ্বে প্রতি বছর ২০ লাখ শিশু জন্মের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই মারা যায়৷ আরো সহজ করে বললে, বিশ্বে প্রতি ১৫ সেকেন্ডে মারা যাচ্ছে একটি শিশু৷
প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক