ভারতে চিকিৎসা বিভ্রাটের অভিযোগ তসলিমার
২০ জানুয়ারি ২০২৩সমাজিক মাধ্যমে একের পর এক পোস্ট দিচ্ছেন তসলিমা নাসরিন। অভিযোগ, দিল্লির চিকিৎসকেরা তার ভুল চিকিৎসা করেছে। অকারণে তার হিপ রিপ্লেসমেন্ট সার্জারি করা হয়েছে। এর ফলে সারা জীবনের মতো তিনি পঙ্গু হয়ে গেছেন। যদিও চিকিৎসকদের দাবি, তসলিমা আবার হাঁটা-চলা করতে পারবেন।
তসলিমা ঘনিষ্ঠ এক সূত্র ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে বাড়িতে পড়ে যান লেখিকা। পায়ে ব্যথা পান। স্থানীয় এক চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে পরামর্শ নিতে যান। সেখানে তার এক্স রে হয়। এক্স রে রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকেরা তাকে দ্রুত সার্জারি করানোর কথা বলেন। এমনকি তাকে বলা হয়, দ্রুত অপারেশন না হলে গ্যাংরিন হয়ে যেতে পারে।
এরপর কনসেন্ট ফর্মে সই করেন তসলিমা এবং তার অপারেশন হয়। ওই অপারেশনের পর থেকেই একের পর এক পোস্ট দিতে শুরু করেন তসলিমা। হাসপাতালে খাটে তার শুয়ে থাকার ছবি পোস্ট করে বলেন, ভুল চিকিৎসা তাকে পঙ্গু করে দিয়েছে।
তার সাম্প্রতিকতম পোস্টে তসলিমা লিখেছেন, তিনি নিজে চিকিৎসাবিজ্ঞান জানেন। এতদিন পর তিনি নিজের এক্স রে প্লেট দেখেছেন। এক্স রে প্লেট থেকে স্পষ্ট-- চিকিৎসকেরা ভুল অপারেশন করেছেন। হিপ রিপ্লেসমেন্ট সার্জারির কোনো প্রয়োজনই ছিল না তার। এরপরই চিকিৎসকদের দোষ দিয়ে তসলিমা লিখেছেন, তারসঙ্গে একজন বাংলাদেশি রোগীর মতো ব্যবহার করা হয়েছে। এভাবেই বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে অপ্রয়োজনীয় চিকিৎসা করা হয় দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে।
তসলিমার ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, এক্স রে রিপোর্টে যা ধরা পড়েছে, তা সহজেই সারিয়ে তোলা যায়। তার জন্য এত বড় সার্জারির কোনো প্রয়োজন হয় না। তবে এক্স রে-তে সামান্য ফ্রাক্চার ছিল বলে তিনি ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন।
যে হাসপাতাল এবং চিকিৎসকেদের বিরুদ্ধে তসলিমার অভিযোগ, তাদের অবশ্য দাবি, তসলিমার ভুল চিকিৎসা হয়নি। কিছুদিনের মধ্যেই তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। তসলিমাকে জানিয়েই এই অপারেশন করা হয়েছে বলেও তারা জানিয়েছেন। তসলিমা কনসেন্ট ফর্মে সই করেছেন বলে তাদের দাবি। ওই ফর্মে সই না করলে এই অপারেশন করা হতো না।
দিল্লিতে বিশেষ সুরক্ষা পান তসলিমা। সে কারণেই তার ঠিকানা গোপন রাখতে হয়। তিনি কোন হাসপাতালে ভর্তি তা-ও গোপন রাখতে বলা হয়েছে। তসলিমা নিজেও হাসপাতালের নাম উল্লেখ করেননি। তিনি যে হাসপাতালে ভর্তি আছেন, সেখানে তার ঘরের বাইরে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এসজি/জিএইচ