ভারতীয় ধনকুবেরদের উদ্বুদ্ধ করতে দিল্লিতে গেটস ও বাফেট
২৪ মার্চ ২০১১বিল গেটস'এর বয়স ৫৫ এবং ওয়ারেন বাফেট'এর ৮০৷ কিন্তু বয়সের এই ব্যবধান দুজনের বন্ধুত্বকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারেনি৷ নতুন দিল্লীর বিলাসবহুল একটি হোটেলে এই দুজন মিলিত হন আরো বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে৷ তবে কার কত অর্থ রয়েছে, তা তারা দেখাতে ব্যস্ত ছিলেন না, বরং কীভাবে এই অর্থ দিয়ে মানুষের উপকার করা যায় তা নিয়েই তারা চিন্তিত ছিলেন৷
ধনী ব্যক্তিরা কীভাবে তাদের অর্থ খরচ করেন? অনেকেই বলবেন, ছুটি কাটিয়ে, হীরা-জহরত, মনি-মুক্তা কিনে, আর এখানে সেখানে টাকা-পয়সা ছড়িয়ে৷ একেবারে মিথ্যে নয়, ভুলও নয়৷ কিন্তু বিল গেটস আর ওয়ারেন বাফেট এ ধরণের কোন কিছুই করতে রাজি নন৷ তারা এমনভাবে তাদের অর্থ খরচ করেন, যা সত্যি সত্যই সাধারণ মানুষের উপকারে আসবে৷ আর এদের দেখাদেখি অ্যামেরিকার ৫৯ জন ধনকুবের নতুন করে ভাবছেন কী করা যায় এত অর্থ দিয়ে৷
বাফেট বলেন, ‘‘আমরা কারো ওপর কোন ধরণের চাপ সৃষ্টি করতে চাই না৷ মানুষের জন্য কে কী করতে চায়, তা জানার এবং বোঝার ক্ষমতা সবার রয়েছে৷ ভারতের ধনীরা তাদের টাকা-পয়সা দিয়ে কী করতে চান, তা পুরোপুরি তাদের ব্যাপার৷''
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে গেটস এবং বাফেট একই ধরণের সফর করেছেন চীনে৷ তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন চীনা বিলিয়নেয়র৷
ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী ভারতে এই মুহূর্তে প্রায় ৫৫ জন বিলিয়নেয়র রয়েছেন৷ প্রথম স্থানে রয়েছে অ্যামেরিকা, দ্বিতীয় স্থানে চীন এবং তৃতীয় স্থানে ভারত৷
তবে মার্কিন এই ধনকুবের ভারতীয় ধনকুবেরদের আরো উদার করে তুলতে সক্ষম হবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে বেশ কিছু পত্রিকা৷ এনডিটিভি জানিয়েছে, এসব ধনকুবেররা উপস্থিত হবেন খুব কাছ থেকে গেটস এবং বাফেটকে দেখতে, তাদের উচ্ছ্বসিত কথাবার্তা শুনতে৷ কিন্তু দুই মার্কিন ভদ্রলোক ফিরে যাবেন শূন্য হাতে৷
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন