1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সরে দাঁড়ালেন ইরাকের মালিকি

১৫ আগস্ট ২০১৪

ইরাকের কোণঠাসা প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকি আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ চাপে সরে দাঁড়ালেন৷ তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন তাঁরই দাওয়া পার্টির সদস্য হায়দার আল আবাদি৷ ‘‘ভাই''-এর কল্যাণে সরে দাঁড়াচ্ছেন, জাতীয় টেলিভিশনে বললেন মালিকি৷

https://p.dw.com/p/1CvDc
Nuri al-Maliki Rücktritt
ছবি: Reuters

ইরাকের ‘বিজিত' সুন্নি সম্প্রদায়কে বাদ দিয়েই শাসন চালাচ্ছিলেন আল মালিকি - যার ফলে ইসলামি রাষ্ট্র সুন্নি আন্দোলন ইরাকেও মাথা চাড়া দিতে পেরেছে: বলতে কি, ইরাকের এক-তৃতীয়াংশ এখন তাদের দখলে৷ সেই আই-এস বা ইসলামিক স্টেট আজ মধ্যপ্রাচ্যের এক নতুন শক্তি, যা এই অঞ্চলে ক্ষমতার ভারসাম্য, এমনকি রাজনৈতিক মানচিত্র বদলে দেবার ক্ষমতা রাখে৷

আইএস'এর অগ্রগতি রোখার জন্য খোদ প্রেসিডেন্ট ওবামা'কে আবার ইরাকে বোমাবর্ষণের নির্দেশ দিতে হয়েছে - যদিও তিনি (আপাতত) ইরাকের মাটিতে মার্কিন সৈন্য নামাতে রাজি নন৷ ইউরোপের অন্যান্য দেশ - যেমন ব্রিটেন ও ফ্রান্স - উপায় না দেখে কুর্দদের অস্ত্র দিতে রাজি, এবং জার্মানিও সেদিকে এগোচ্ছে৷ এক অর্থে নুরি আল মালিকি ও তাঁর রাজনীতি এই দুরবস্থার জন্য দায়ী৷ ইরাকের সুন্নি সম্প্রদায়ের অসন্তোষই ইসলামিক স্টেট সন্ত্রাসের আসল ভিত্তি৷

আল মালিকি যে সময় কিছু কম পেয়েছেন, এমন নয়৷ আট বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পর তিনি একটি তৃতীয় কর্মকালের জন্য সচেষ্ট ছিলেন - গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইরাকি সংসদে যে রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলেছে, তার মূলে ছিল মালিকি'র ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার প্রচেষ্টা৷ অতঃপর সেই প্রচেষ্টা পরিত্যাগ করেছেন মালিকি৷

Haider al-Abadi
হায়দার আল আবাদিছবি: picture alliance / AP Photo

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘ, উভয়েই আল আবাদি'কে সমর্থন করেছে এবং করছে৷ আল মালিকি সূচনায় আল আবাদি'র মনোনয়নের বিরুদ্ধে সাংবিধানিক আদালতে মামলা করার উদ্দেশ্য ঘোষণা করলেও, শেষমেষ সে' মনোনয়ন মেনে নিয়েছেন৷ হোয়াইট হাউস সঙ্গে সঙ্গে আল মালিকি'র এই পদক্ষেপকে প্রশংসা জানিয়েছে৷ আল আবাদি'কে এবার আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তাঁর মন্ত্রিসভা পেশ করতে হবে৷ বিশ্ব নিরাপত্তা পরিষদ আল আবাদি'কে ইরাকি জনগণের সব অংশকে নিয়ে একটি ঐক্যের সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছে৷ সবচেয়ে বড় কথা, সব সম্প্রদায়ের ইরাকিরা দৃশ্যত আল মালিকি'র বিদায় ও আল আবাদি'র মনোনয়নে খুশি৷

সর্বশেষ খবর: জার্মান সেনাবাহিনী শুক্রবার উত্তর ইরাকে ত্রাণ সাহায্য পাঠাতে শুরু করেছে৷ প্রধানত ওষুধপত্র, খাবারদাবার ও কম্বল ইত্যাদি পাঠানো হচ্ছে৷ এই উপলক্ষ্যে জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী উর্সুলা ফন ডের লাইয়েন বলেছেন, সৈন্যদের হেলমেট ও বুলেট-প্রুফ ভেস্ট ইত্যাদি পাঠানোর কথাও ভাবা হচ্ছে৷ অপরদিকে জনপ্রিয় ‘বিল্ড' ট্যাবলয়েড'এর সাক্ষাৎকারে ফন ডের লাইয়েন বলেছেন: ‘‘সাধারণভাবে বলা যেতে পারে - জার্মান অস্ত্রে যদি গণহত্যা প্রতিরোধ করা যায়, তাহলে আমাদের সাহায্য করা কর্তব্য৷''

এসি/জেডএইচ (এপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য