ভক্তদের দোর গোড়ায় মরণোত্তর ‘মাইকেল’
১২ ডিসেম্বর ২০১০মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে মঙ্গলবারই পাওয়া যাবে ‘মাইকেল'৷ অ্যালবামটিতে থাকা ১০ টি গানের আটটিই জ্যাকসনের লেখা বলে দাবি করা হচ্ছে৷ এছাড়া দু'টি গান রয়েছে লেনি ক্র্যাভিটজ এবং মার্কিন সংগীত তারকা অ্যাকনের৷ রয়েছে ক্র্যাভিটজ ফিচারিং ‘অ্যানাদার ডে' এবং অ্যাকনের ‘হোল্ড মাই হ্যান্ড'৷ মাইকেল'ই শেষ নয় বরং জ্যাকসনের আরো কিছু নতুন অ্যালবাম প্রকাশের পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে রেকর্ডিং প্রতিষ্ঠান সনি৷
সম্পূর্ণ অ্যালবামটি বাজারে আসার আগেই ভক্তদের হাতে পৌঁছে গেছে মাইকেল জ্যাকসনের বিশেষ পছন্দের ছটাসমৃদ্ধ মনোমুগ্ধকর কভারটি৷ কভারের উপর চোখ বুলালেই ভক্তদের সামনে ভেসে উঠবে পপ সম্রাটের বিচিত্র রূপ-সৌন্দর্যের চিত্র৷ কভারটিতে দেখা যাচ্ছে দুই ডানাযুক্ত অনবদ্য শিশু মুকুট পরিয়ে দিচ্ছেন পপ রাজার শিরে৷ পটভূমিতে রয়েছে বাইবেলে বর্ণিত স্বর্গীয় ছোঁয়াযুক্ত নক্ষত্রের জগত৷ ইতিমধ্যে গত সপ্তাহান্তে অ্যামাজন ডট কম-এর সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া পণ্যের তালিকায় শীর্ষ ১১তম ঘরে পৌঁছে গেছে নতুন অ্যালবামের এই কভার৷
তবে অ্যালবামটির গানগুলোতে পপ সম্রাটের নিজস্বতা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক শুরু হয়েছে৷ এমনকি জ্যাকসনের পরিবার থেকেও শোনা গেছে কড়া মন্তব্য৷ জ্যাকসনের বোন লাটয়া বলেছেন, ‘‘এগুলো তাঁর মতো মনে হয় না৷'' আবার জ্যাকসন ভক্তদের অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন যে কিছু গানের অংশ অনেক বছর আগে রেকর্ড করা হলে সেগুলোকে কীভাবে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়া সম্ভব হলো৷ বিশেষ করে ‘মাচ টু সুন' রেকর্ড করা হয়েছিল ১৯৮২ সালে জ্যাকসনের অনবদ্য সৃষ্টি ‘থ্রিলার' প্রকাশের সময়৷
আবার ‘বেস্ট অফ জয়' গানটির বেশ কিছু অংশ ধারণ করা হয় ২০০৯ সালের জুনে জ্যাকসনের মৃত্যুর কয়েক মাস আগে৷ এই গানটি নিয়ে তিনি আরো কাজ করতে চেয়েছিলেন তাঁর পরবর্তী লন্ডন কনসার্টের সময়৷ তবে সেটা আর হয়ে ওঠেনি৷ অবশ্য, প্রকাশনা কর্তৃপক্ষ বলছে, জ্যাকসন না থাকলেও এসব গানের পূর্ণাঙ্গতার জন্য একক নির্দেশনা তিনি তৈরি করে রেখেছিলেন৷ যা এই অ্যালবামে তাঁর পরিকল্পনার বাস্তব রূপ দিতে সহায়ক হয়েছে৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: জাহিদুল হক