ব্লুজ-রক সংগীতের দিকপাল এরিক ক্ল্যাপটন
৩১ মার্চ ২০১১৩০ মার্চ ছিল বিরাট প্রতিভার অধিকারি এই সংগীত তারকার ৬৬ তম জন্মবার্ষিকী৷
এরিক ক্ল্যাপটন একাধারে গীতিকার, সুরকার, প্রযোজক, গিটার বাদক ও গায়ক৷ ব্লুজ ও রক সংগীতের ইতিহাসে এরিক ক্ল্যাপটন এক অসামান্য ব্যক্তিত্ব৷ ষাট দশকের শেষার্ধে লন্ডন ও নিউ ইয়র্কের দেয়ালে গ্র্যাফিটি শৈলীতে আঁকা একটি জনপ্রিয় স্লোগান ছিল ‘ক্ল্যাপটন ইজ গড' বা ক্ল্যাপটন ঈশ্বর৷ কয়েক দশক পরে আজও বিশ্বব্যাপী তাঁর জনপ্রিয়তা অম্লান৷
এরিক ক্ল্যাপটন'এর জন্ম ১৯৪৫ সালে ইংল্যান্ডের সারে শহরে৷ ১৩ বছর বয়সে গিটারে তাঁর হাতেখড়ি৷ ব্লুজ সংগীতের প্রতি তাঁর ছিল গভীর অনুরাগ৷ ব্লুজ সংগীতের মহারথী রবার্ট জনসন, চাক বেরি, বিবি কিং প্রমুখ ছিলেন তাঁর আদর্শ৷ ১৬ বছর বয়সেই গিটার বাদক হিসাবে তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে৷ সংগীত গোষ্ঠী ‘ইয়ার্ডবার্ডস' এর সাথে বেশ কিছুকাল থাকার পর গঠন করেন তাঁর বিখ্যাত ‘ক্রিম' সংগীত গোষ্ঠী৷ এ সময়ই গীতিকার, সুরকার ও গায়ক হিসাবে তাঁর আত্মপ্রকাশ৷ ১৯৭০ সালে তাঁর অ্যালবাম ‘লেইলা' তাকে এনে দেয় বিশ্বখ্যাতি৷
এই দুটি সংগীত গোষ্ঠী নিয়েই তিনি অর্জন করেছেন আন্তর্জাতিক সাফল্য ও জনপ্রিয়তা৷ এছাড়াও একক সংগীত শিল্পী হিসেবে তিনি পেয়েছেন বিশ্বজুড়ে খ্যাতি ও স্বীকৃতি৷ তাঁর সংগীত বহু সেরা শিল্পীকে প্রভাবিত করেছে৷ বহু খ্যাতিমান সংগীত শিল্পীর সাথে কনসার্ট পরিবেশন করেন এরিক৷ উল্লেখযোগ্য ১৯৭১ সালে নিউ ইয়র্কে আয়োজিত ঐতিহাসিক ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ'এও অংশ গ্রহণ করেন তিনি৷
এরিক ক্ল্যাপটন'এর নতুন আঙ্গিকের সুদক্ষ ও সৃজনশীল সঙ্গীত আজও মুগ্ধ সংগীতানুরাগিদের৷ আর সেই সাথে তাঁর অসাধারণ গিটার বাজানোর ক্ষমতা৷ নিউ ইয়র্কের সংগীত ম্যাগাজিন ‘রোলিং স্টোন' এ বিশ্বের ১০০ জন সেরা গিটারবাদকের তালিকায় তাঁর স্থান চার নম্বরে৷ তিনিই এক মাত্র সংগীত শিল্পী, যিনি তিনবার ‘রক এ্যান্ড রোল হল অফ ফেম'এ অভিষিক্ত হয়েছেন৷ ১৭ বার গ্র্যামি সহ আরো বহু পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন ব্লুজ- রক সংগীতের দিকপাল এরিক ক্ল্যাপটন৷
প্রতিবেদন: মারুফ আহমদ
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন