ব্রেক্সিটের সময়সীমা বাড়ানো নিয়ে জনসনের তিন চিঠি
২০ অক্টোবর ২০১৯শনিবার সংসদে এক ভোটাভুটিতে হেরে নতুন বিপাকে পড়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন৷ সংসদ সদস্যরা তাঁর আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যকার নতুন চুক্তিটি অনুমোদন স্থগিত রেখে ব্রেক্সিটের সময়সীমা বাড়ানোর আবেদনের জন্য আইনি বাধ্যবাধকতায় ফেলেছেন৷ জনসনও কম যান না৷ নিজের প্রতিশ্রুতি আর আইন দুটোই রক্ষা করেছেন অভিনব উপায়ে৷
রোববার জনসন তিনটি চিঠি পাঠিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে৷ প্রথমটি পাঠান তিনি ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রুস্ককে৷ চিঠিতি জনসন আইনি বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে সময় বাড়ানোর আবেদন জানান৷ এটি মূলত একটি আইনের খাসড়া কপি৷ এটিতে জনসনের স্বাক্ষর করার কথা থাকলেও তিনি তা করেননি৷
জনসন এরপর দ্বিতীয় চিঠিটি পাঠিয়েছেন সময়সীমা না বাড়ানোর যুক্তি দিয়ে৷ সেখানে তিনি আবারও ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের মেয়াদ পেছানো ভুল সিদ্ধান্ত হবে বলে অভিহিত করেছে৷ জনসনের পক্ষে ইইউর কাছে তৃতীয় চিঠিটি পাঠান ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত টিম ব্যারো৷ সেখানে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে এবং আজকে সংসদে আবারও আমার অভিমত এবং সরকারের অবস্থান পরিস্কার করেছি৷ আরেক দফা সময়সীমা বাড়ানো যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন দুই পক্ষেরই স্বার্থবিরোধী, সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর৷''
এর মধ্যে প্রথম চিঠিটি প্রাপ্তির কথা নিশ্চিত করেছেন ডোনাল্ড টুস্ক৷ এক টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, সময়সীমা বৃদ্ধির অনুরোধটি পৌঁছেছে৷ এর প্রতিক্রিয়া কী হবে তা ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সাথে আলাপ করে ঠিক করা হবে৷
প্রসঙ্গত, ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই ব্রিটেনকে ইউরোপ থেকে বের করার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর জনসন৷ গত বৃহস্পতিবার ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে ব্রেক্সিট নিয়ে একটি বোঝাপড়াও চূড়ান্ত করেন তিনি৷ সেই চুক্তি অনুমোদন দেয়া হবে কীনা তা ঠিক করতেই শনিবার সংসদ অধিবেশন বসার মত বিরল ঘটনা ঘটে ব্রিটেনে৷ কিন্তু চুক্তির অনুমোদনের আগে প্রয়োজনীয় আইন পাসের পক্ষে ভোট দেন সংসদ সদস্যরা৷ এর ফলে বিধি অনুযায়ী জনসন ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের সময়সীমা বৃদ্ধির জন্য ইইউর কাছে আবেদন জানাতে বাধ্য৷
এর প্রতিক্রিয়ায় শনিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে তিনি মরে যেতে রাজি আছেন, কিন্তু সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করতে রাজি নন৷
এফএস/এআই (এপি, রয়টার্স)