‘মনঃক্ষুণ্ণ' এক শরণার্থী!
২৮ মার্চ ২০১৬ব্রাসেলসে আত্মঘাতী বোমারু নাজিম লাচরাওয়ির ছবির সঙ্গে আনাস মোডামানির ছবির তুলনা করে ফেসবুক এবং টুইটারে বিভিন্ন ‘পোস্ট' করেছেন অনেকে৷ কোনো কোনো ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, তাদের দু'জনের মধ্যে পরিষ্কার মিল রয়েছে৷ কেউ কেউ ক্ষুব্ধ হয়ে লিখেছেন, ম্যার্কেল এক আত্মঘাতী বোমারুর সঙ্গে ছবি তুলেছিলেন৷ আবার কারো মতে, সন্ত্রাসীরা যে ‘শরণার্থীর বেশে' ইউরোপে প্রবেশ করছে, এই ছবি তার প্রমাণ৷
হ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ ‘অ্যানোনিমাস' তাদের ফেসবুক পাতাতেও এই ছবিটি শেয়ার করেছে, যার অনুসারীর সংখ্যা দুই মিলিয়নের মতো৷ মোডামানি অবশ্য পুরো পরিস্থিতিকে হাস্যকর মনে করছেন, যদি না তা তার জন্য বড় কোনো বিপদ ডেকে না আনে৷ পুলিশের দাবি, গত মঙ্গলবার ব্রাসেলস বিমানবন্দরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় জড়িত দ্বিতীয় বোমারু ছিল নাজিম লাচরাওয়ি৷ এমনিক গত নভেম্বরে প্যারিসে বোমা হামরার পর উদ্ধার করা এক আত্মঘাতী পোশাকেও তার ডিএনএ পাওয়া গেছে৷
ডয়চে ভেলেকে টেলিফোনে মোডামানি জানান, ছবিটির এমন ব্যবহার দেখে তার মন খারাপ হয়েছে৷ সিরিয়ার দামেস্ক থেকে যাত্রা করে গত সেপ্টেম্বরে জার্মানিতে পৌঁছান ১৯-বছর বয়সি মোডামানি৷ চলতি বছরের শুরু থেকে একটি জার্মান পরিবারের সঙ্গে রয়েছেন তিনি, শিখছেন জার্মান ভাষা৷
মোডামানির বন্ধু লিয়াং চেং জানান, মোডামানি জার্মানির বার্লিনে থাকেন, প্রতিদিন স্কুলে যান৷ তারপক্ষে এখন কোনোভাবে ব্রাসেলস যাওয়াই সম্ভব নয়৷ তিনি বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে, ইন্টারনেটে এ সব মিথ্যা কথা দ্রুত ছড়ায়৷''
মোডামানি ভবিষ্যতে তাঁর পরিবারকে জার্মানিতে আনতে চান৷ তবে তিনি এখন কিছুটা শঙ্কিত৷ পাছে, জার্মান পুলিশ বা জার্মানরা ভেবে না বসে তার ছবি নিয়ে যে গুজব তার পেছনে হয়ত সত্য কিছু আছে!
কী মনে হয়? মোডামানি কি সত্যিই জঙ্গিদের সঙ্গে জড়িত হতে পারে? জানান নীচের ঘরে৷