1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রাসেলসে সম্মান পেলেও যুদ্ধবিমান পাননি জেলেনস্কি

১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ব্রাসেলস সফরে ইউরোপীয় নেতাদের জোরালো সমর্থন পেলেও যুদ্ধবিমানের কোনো আশ্বাস পাননি৷ এদিকে ইউক্রেনের পূর্বে রাশিয়া জোরালো সামরিক তৎপরতা শুরু করেছে৷

https://p.dw.com/p/4NJvG
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন, ইউরোপীয় সরকার পরিষদের প্রধান শার্ল মিশেলের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি৷
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন, ইউরোপীয় সরকার পরিষদের প্রধান শার্ল মিশেলের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি৷ছবি: Virginia Mayo/AP Photo/picture alliance

প্রায় এক বছর আগে রাশিয়ার হামলা শুরু হবার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদোমির জেলেনস্কি প্রকাশ্যে এই নিয়ে দু-বার দেশ ছেড়ে বের হলেন৷ গত বছর ওয়াশিংটন সফরের পর এবার তিনি ব্রিটেন ও ফ্রান্সের পর বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিলেন৷ ইউরোপীয় পার্লামেন্টেও ভাষণ দিলেন জেলেনস্কি৷ ইউক্রেনের জন্য আরও সমর্থন এবং দ্রুত আরও উন্নত অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর অনুরোধ করলেন তিনি৷ জেলেনস্কি ইউরোপীয় নেতাদের বলেন, তিনি খালি হাতে কিয়েভ ফিরতে আসেন নি৷ অস্ত্রের পাশাপাশি ইউক্রেনকে দ্রুত ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য করার স্বপ্ন পূরণ করতে ব্রাসেলস আরও ইতিবাচক সাড়া চান তিনি৷

ইউরোপীয় নেতারাও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে যথেষ্ট সম্মান ও গুরুত্ব দিয়েছেন৷ ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন, ইউরোপীয় সরকার পরিষদের প্রধান শার্ল মিশেল এবং বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দরে জেলেনস্কিকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা বেশ কয়েকবার দাঁড়িয়ে করতালি দিয়ে তাঁর প্রতি সম্মান জানিয়েছেন৷ কিন্তু উৎসাহ, সম্মান, সংহতি, প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি জেলেনস্কি দ্রুত বাস্তব পদক্ষেপের উপর বার বার জোর দিয়েছেন৷ বিশেষ করে যত দ্রুত সম্ভব আধুনিক যুদ্ধবিমান চেয়েছেন তিনি৷ জেলেনস্কির স্পষ্ট বার্তা ছিল, ‘‘আধুনিক যুগের সবচেয়ে ইউরোপ-বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে আপনাদের সঙ্গে আমরা ইউক্রেনীয়রা যুদ্ধক্ষেত্রে আত্মরক্ষার লড়াই করছি৷''

ইউক্রেনের পূর্বে রাশিয়ার বেড়ে চলা হামলা প্রতিহত করতে ইউক্রেনের যে আরও অস্ত্র ও গোলাবারুদ প্রয়োজন, পশ্চিমা বিশ্ব সে বিষয়ে সচেতন৷ কিন্তু অনেক সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে সময় লাগছে৷ স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী এডুয়ার্ড হেগার এক টুইট বার্তায় লেখেন, তিনি জেলেনস্কির অনুরোধের ভিত্তিতে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান সরবরাহের বিষয়টি বিবেচনা করবেন৷ তবে ইউরোপের অনেক নেতা রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকির আশঙ্কায়  যুদ্ধবিমান সরবরাহের প্রশ্নে দ্বিধায় ভুগছেন৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ বলেন, যুদ্ধবিমান পাঠানোর সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে না দিলেও সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতেও সময় লাগবে৷ জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস বলেন, ইউক্রেনের জয় পর্যন্ত ইউরোপ সহায়তা চালিয়ে যাবে৷

কিয়েভে জেলেনস্কির অনুপস্থিতির সময়েও রাশিয়া ইউক্রেনের পূর্বে লাগাতার হামলা চালিয়ে গেছে৷ ২৪শে ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার হামলার বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ইউক্রেন আরও জোরালো অভিযানের আশঙ্কা করছে৷ মস্কো গত ২৪ ঘণ্টায় ব্যাপক সামরিক সাফল্যের দাবি করেছে৷ রাশিয়ার সূত্র অনুযায়ী, বাখমুত ও ভুলেদারসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলে রুশ বাহিনী অগ্রসর হয়েছে৷ লুহানস্ক প্রদেশের ইউক্রেনীয় নিয়ন্ত্রিত এলাকার গভর্নর সেরহি হাইদাই-ও রুশ বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতার বর্ণনা করেছেন৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এপি)