1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রাজিলে বিশ্বায়ন বিরোধী কর্মীদের ওয়ার্ল্ড সোশ্যাল ফোরাম শুরু

হোসাইন আব্দুল হাই২৮ জানুয়ারি ২০০৯

মঙ্গলবার বিশ্বায়ন বিরোধী কর্মীদের ওয়ার্ল্ড সোশ্যাল ফোরাম ব্রাজিলের বেলেমে শুরু হলো৷ বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের পাল্টা প্লাটফর্ম হিসেবে এই ফোরাম ২০০১ সালে ব্রাজিলের দক্ষিণে অবস্থিত পোর্টো আলেগ্রে নগরীতে যাত্রা শুরু করে৷

https://p.dw.com/p/GhmI
‘অন্য এক দুনিয়া গড়ে তোলা সম্ভব' এই মূলমন্ত্রে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিশ্বায়ন বিরোধী কর্মীরা ব্রাজিলের উত্তর-পূর্ব শহর বেলেমে ওয়ার্ল্ড সোশ্যাল ফোরামে মিলিত হয়েছেন৷ ছবিতে ২৭ জানুয়ারির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান৷ছবি: AP

‘অন্য এক দুনিয়া গড়ে তোলা সম্ভব' এই মূলমন্ত্রে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিশ্বায়ন বিরোধী কর্মীরা ব্রাজিলের উত্তর-পূর্ব শহর বেলেমে ওয়ার্ল্ড সোশ্যাল ফোরামে মিলিত হয়েছেন৷

ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ফ্রান্সিস্কো ভিটেকার বলেন, অংশগ্রহণকারীরা ভিন্ন মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে এক নতুন সভ্যতা সৃষ্টির ব্যাপারে কথা বলছেন৷

ফোরামের সংগঠক ক্যান্ডিডো গ্রিবভস্কি বলেন, এই ফোরাম হচ্ছে একটি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে সকল মতামতই বৈধ৷ এই ফোরামের প্রস্তাবনার মাঝেই নিহীত রয়েছে বহুত্ববাদ জাগিয়ে তোলার রসদ৷

Weltsozialforum in Belem, Brasilien
বেলেমে এভাবেই ক্যাম্প করে অবস্থান করছে ফোরামে অংশ নেয়া অনেকেছবি: AP

ফোরামের মোট ২৬০০ কার্যক্রমে দেড় শ'টি দেশ থেকে প্রায় এক লাখ বিশ হাজার মানুষ অংশ গ্রহণ করছেন৷ বৃহস্পতিবার ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা ডা সিলভা, বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট এভো মোরালেস, ইকুয়েডরের রাফায়েল কোরেয়া, পারাগুয়ায় এর ফার্নান্দো লুগো এবং ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট উগো চাভেজ তাঁদের সাথে যোগ দেবেন৷

ইউরোপিয়ান সোশ্যাল ফোরামের প্রতিনিধি ইটালির রাফায়েলা বোলিনি মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে স্মরণ করিয়ে দেন যে, এই ফোরাম বছরের পর বছর নব্য-উদার বিশ্বায়ন এবং পুঁজিবাদী বাজার ব্যবস্থার নিন্দা করে আসছে যে কারণে এর প্রবক্তারা সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে এবং এমনকি তাঁদের রাজনৈতিক নির্যাতনও সহ্য করতে হয়েছে৷

ফোরামের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ব্রাজিলের ব্যবসায়ী ওডেড গ্রাইয়েভ বলেন, চলমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলা করার জন্য গৃহীত পদক্ষেপ দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে হয়নি বরং এটা সে সমস্যা সৃষ্টিকারী ব্যবস্থাকে জিইয়ে রাখার জন্যই হয়েছে৷

তিনি বলেন, প্রায়ই বলা হয়ে থাকে যে, সম্পদ সীমিত৷ কিন্তু অর্থনৈতিক সংকটের মোকাবেলায় গাড়ী তৈরির কারখানা, ব্যাংক এবং দেউলিয়া হয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানসমূহকে বাঁচানোর জন্য হঠাৎ করে কোটি কোটি ডলার বেরিয়ে আসলো যা দারিদ্র্য মোকাবেলায় এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের চেয়েও বেশি হতো৷

২০০১ সালে শুরু হওয়ার পর ২০০২, ২০০৩ এবং ২০০৫ সালে পোর্টো আলেগ্রেতে এই ফোরাম অনুষ্ঠিত হয়৷ এছাড়া ২০০৪ সালে ভারত, ২০০৬ সালে ভেনিজুয়েলা এবং ২০০৭ সালে কেনিয়া এই ফোরামের আয়োজন করে৷ ২০০৮ সালে এই ফোরাম একটি নির্দিষ্ট দেশে না হয়ে বরং একইসাথে ৮২ টি ভিন্ন ভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত হয়৷