বোমাবাজি ও ভাঙচুরের হরতাল
১৩ ডিসেম্বর ২০১২এদিকে, হরতালে ঢাকাসহ সারা দেশে ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাঙচুর, আগুন এবং পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে যথারীতি৷
সকাল আটটার দিকে বিএনপির নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে সকাল ছয়টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত চলা হরতালের উত্তাপ শুরু হয়৷
এরপর হরতাল সমর্থক পিকেটাররা পল্টন, বিজয়নগর, মগবাজার, মানিক মিয়া এভিনিউ, মিরপুর, গাবতলীসহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর করে৷ এসময় কয়েকটি গাড়িতে আগুনও দেয় তারা৷
পুলিশও পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে৷
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের পর বিরোধী দলের চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা এর সঙ্গে জড়িত নয়৷ বরং সরকারের লোকজনই এসব ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপির ওপর দায় চাপাচ্ছে৷ তিনি অভিযোগ করেন পুলিশ তাঁদেরকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে৷
ঢাকার বাইরে নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষ এবং আগুন লাগানো ও ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে৷
হরতাল শেষে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা তরিকুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে আগামী ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো কঠোর কর্মসূচি না দেয়ার কথা বলেন৷ বিজয় দিবসের নানা অনুষ্ঠানের কারণে তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ তিনি জানান এই সময়ের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে মুক্তি না দেয়া হলে পরে তাঁরা আরো কঠোর কর্মসূচি দেবেন৷
এদিকে হরতাল বিরোধী মিছিল এবং সমাবেশ শেষে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার জন্যই বিরোধী দলের এই কর্মসূচি৷
বৃহস্পতিবারের আধা বেলার এই হরতালেও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে ওঠে৷
নির্বাচনের সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুক্তির দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বে ১৮ দলের বিরোধী জোট এই হরতাল পালন করলো৷