বেলারুশে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক জার্মান টিভিতে ক্ষমা চাইলেন
২৬ জুলাই ২০২৪৩০ বছর বয়সি জার্মান নাগরিক রিকো ক্রিগারের ভিডিওটি বৃহস্পতিবার টিভিতে প্রচারিত হয়েছে৷ এতে তিনি বলেন, ‘‘আমি আসলেই আশা করছি প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো আমাকে ক্ষমা করবেন৷ আমি যা করেছি তার জন্য খুবই অনুতপ্ত এবং কেউ হতাহত হয়নি বলে স্বস্তি পেয়েছি৷'' জার্মান সরকার তাকে ‘বর্জন' করেছে বলে তার মনে হয়েছে বলেও জানান তিনি৷
কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা মৃত্যুদণ্ড কার্যকর না করার আহ্বান জানিয়েছে৷
ক্রিগার জানান, ইউক্রেন গতবছর তাকে বেলারুশের কয়েকটি সামরিক স্থাপনার ছবি তুলতে বলেছিল৷ মিনস্কে রেললাইনে বিস্ফোরক ডিভাইস রাখার অভিযোগও আনা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে৷
ভিয়াসনা হিউম্যান রাইটস সেন্টার জানিয়েছে, ক্রিগারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদেরও অভিযোগ আনা হয়েছিল৷ গোপন অবস্থায় গত জুনে তার বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া চলেছে৷ একমাস পরই রায় প্রকাশ করা হয়৷
ভিয়াসনা জানিয়েছে, ক্রিগার বার্লিনের মার্কিন দূতাবাসে নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন৷ আর তার লিংকডইন প্রোফাইল বলছে, তিনি রেডক্রসেও কাজ করেছেন৷
মিনস্কের জার্মান দূতাবাস ক্রিগারকে কনসুলার সেবা দিয়েছে এবং তার পক্ষ হয়ে বেলারুশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে বলে গত সপ্তাহে এএফপিকে জানিয়েছিল জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র৷
বেলারুশ মৃত্যুদণ্ড বৈধ৷ ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে স্বাধীন হওয়ার পর দেশটিতে প্রায় ৪০০ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে৷ তবে বিদেশি নাগরিকদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়টি বিরল৷
সাম্প্রতিক সময়ে লুকাশেঙ্কোর সরকার বিরোধীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে৷ লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে কথা বলায় কয়েক হাজার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷
জেডএইচ/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি, রয়টার্স)